জুবায়ের হত্যা মামলার হাইকোর্টের রায় হচ্ছে না আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৩৪ এএম, ২৩ জানুয়ারি ২০১৮

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র জুবায়ের আহমেদ হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায় হচ্ছে না আজ মঙ্গলবার। হাইেকাের্টের বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে মামলাটির রায় ঘোষণার জন্য আজ দিন ধার্য ছিল। কিন্তু বেঞ্চের কনিষ্ঠ বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ছুটিতে থাকায় রায় ঘোষণা করা হবে না আজ।

এই মামলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সরোয়ার কাজল বলেন, একজন বিচারপতি দেশের বাইরে আছেন। এ কারণে মঙ্গলবার একক বেঞ্চ বসবে। জুবায়ের হত্যা মামলার রায় মঙ্গলবার হবে না। তবে পরর্বতী দিনক্ষণ ঠিক করার পর তা জানানো হবে।

এর আগে গত ৯ জানুয়ারি জুবায়ের আহমেদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষে রায়ের জন্য আজ ২৩ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছিলেন হাইকোের্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ। আদালতে ওই দিন রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সরোয়ার কাজল। তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নির্মল কুমার দাস।

২০১৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জুবায়ের আহমেদ হত্যা মামলার রায়ে পাঁচজনকে ফাঁসি ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে আদেশ দেন বিচারিক আদালত। এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় দু’জনকে খালাস দেয়া হয়। ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ বি এম নিজামুল হক এ রায় ঘোষণা করেন।

আসামিরা সবাই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী। মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের আশিকুল ইসলাম আশিক, খান মোহাম্মদ রইছ ও জাহিদ হাসান, দর্শন বিভাগের রাশেদুল ইসলাম রাজু এবং সরকার ও রাজনীতি বিভাগের মাহবুব আকরাম।

এদের মধ্যে রাশেদুল ইসলাম রাজু ছাড়া বাকি ৪ জন পলাতক। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন, পরিসংখ্যান বিভাগের ছাত্র শফিউল আলম সেতু ও অভিনন্দন কুণ্ডু অভি, দর্শন বিভাগের কামরুজ্জামান সোহাগ ও ইশতিয়াক মেহবুব অরূপ, ইতিহাস বিভাগের মাজহারুল ইসলাম এবং অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র নাজমুস সাকিব তপু। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে অরূপ পলাতক, বাকিরা কারাগারে রয়েছেন।

পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাশেদুল ইসলাম রাজু। আপিল ও ডেথ রেফারেন্স শুনানি নিয়ে আদালত রায়ের জন্য এই দিন ঠিক করেন।

২০১২ সালের ৮ জানুয়ারি ছাত্রলীগের কর্মী জুবায়েরকে কুপিয়ে জখম করে তারই সংগঠনের একটি পক্ষ। পরে তাকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ওই দিন রাতেই তাকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানেই ৯ জানুয়ারি ভোরে মারা যান জুবায়ের। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন রেজিস্ট্রার হামিদুর রহমান আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

এফএইচ/এআরএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।