ডিএনসিসির উপ-নির্বাচন স্থগিত

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:৪২ এএম, ১৭ জানুয়ারি ২০১৮

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে (ডিএনসিসি) মেয়রের শূন্য পদে উপ নির্বাচন ও সম্প্রসারিত অংশের কাউন্সিলর পদের নির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে নির্বাচনের তফসিল কেন ‘আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত’ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

দুটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আনিসুল হকের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া ঢাকা উত্তরের মেয়র পদে উপ নির্বাচন এবং দুই সিটিতে নতুন সংযুক্ত হওয়া ৩৬টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের কউন্সিলর নির্বাচনের জন্য গত ৯ জানুয়ারি তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ঘোষিত তফসিলে ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোটের দিন ঠিক করে নির্বাচনের বিস্তারিত সময়সূচি দেয়া হয়।

ডিএনসিসি মেয়রের শূন্য পদের উপ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল স্থগিত চেয়ে ১৬ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) হাইকোর্টে পৃথক দুটি রিট করেন রাজধানী উত্তরের বেরাইদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম এবং ভাটারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আতাউর রহমান। পরে রিট দুটির শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য বুধবার দিন ধার্য করেন আদালত।

আদালতে আতাউর রহমানের করা রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান খান এবং তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী আহসান হাবিব ভূঁইয়া। অন্যদিকে জাহাঙ্গীরের করা রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী এবং তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মোকাররামুস সাকলান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেসুর রহমান।

আইনজীবীরা জানান, গত ৯ জানুয়ারির ঘোষিত তফসিলে ১৮ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। যিনি প্রার্থী হবেন তিনিও জানেন না তিনি ভোটার কিনা। এছাড়া মনোনয়নপত্রে ৩০০ ভোটারের স্বাক্ষর থাকতে হবে। ভোটার তালিকা প্রকাশ না হলে এটা সম্ভব হচ্ছে না।

এছাড়াও স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন, ২০০৯ এর ৫ (৩) উপধারা অনুযায়ী ‘মেয়রের পদসহ কর্পোরেশনের শতকরা পঁচাত্তর ভাগ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে এবং নির্বাচিত কাউন্সিলরদের নাম সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হলে, কর্পোরেশন এ আইনের অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, যথাযথভাবে গঠিত হয়েছে বলে গণ্য হবে।

আইনমতে, উত্তর সিটি কর্পোরেশনে নতুন যুক্ত হওয়া ১৮টি মিলে কাউন্সিলর শতকরা ৭৫ ভাগ হয় না। কারণ নতুন ১৮টিতে তো নির্বাচনই হয়নি। সে হিসাবে মেয়র পদই তো গঠিত হচ্ছে না। এছাড়া সম্প্রসারিত ১৮টি ওয়ার্ডে যারা কাউন্সিলর হবেন তারা কতদিনের জন্য নির্বাচিত হবেন এসব প্রশ্ন রেখেই দুটি রিট করা হয়।

এফএইচ/আরএস/আইআই/এএইচ/আইআই/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।