খালেদার নথি ইঞ্জিনিয়ারিং করা হয়েছে : মওদুদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:১৩ পিএম, ০৪ জানুয়ারি ২০১৮
ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের যে নথি দুদক উপস্থাপন করেছে তার কোনো মূল নথি নেই। খালেদার মামলার নথিগুলো ইঞ্জিনিয়ারিং করা হয়েছে। সেজন্য তারা ছায়ানথি সৃজন করেছেন। সাক্ষ্য আইনে তা গ্রহণযোগ্য নয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাতজন সাক্ষী বলেছেন, মূল নথিগুলো খুঁজে পাওয়া যায়নি। যদি মূল নথি খুঁজে না পাওয়া যায়, তবে ধরে নেয়া যায়- হয় কোনো নথি ছিল না নাহয় খালেদার পক্ষে যাবে বলে নথিগুলো লুকিয়েছে।

বৃহস্পতিবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সপ্তম দিনের মতো যুক্ত উপস্থাপন শেষে সাংবাদিকের সামনে এসব কথা বলেন খালেদার আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। এ দিন খালেদার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন এ জে মোহাম্মদ আলী। তার যুক্তি উপস্থানপন শেষ না হওয়ায় পরবর্তী যুক্তি উপস্থাপনের জন্য ১০ ও ১১ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।

রাজধানীর বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে খালেদা জিয়া আজ হাজিরা প্রদান করেন। এরপর বেলা ১১টা ৩৯ মিনিটে তার আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন। তার যুক্তি উপস্থাপন শেষ না হওয়ার পরবর্তী যুক্তি উপস্থাপনের জন্য নতুন করে আদালত এ দিন ধার্য করেন।

গত ১৯ ডিসেম্বর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার যুক্তি উপস্থাপন শুরু হয়। রাষ্ট্রপক্ষ ১৯ ডিসেম্বর তাদের যুক্তি উপস্থাপন শেষ করে খালেদার সর্বোচ্চ শাস্তির আবেদন করেন। ২০ ডিসেম্বর খালেদার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন তার আইনজীবী আবদুর রেজ্জাক খান। এ দিন শেষ না হওয়ায় ২১ ডিসেম্বর পরবর্তী যুক্তি উপস্থাপনের দিন ধার্য করেন আদালত। ২১ ডিসেম্বর খালেদার পক্ষে যুক্তি উপস্থান শেষ না হওয়ায় ২৬, ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর পরবর্তী যুক্তি উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য করেন আদালত। ওই সময়ের মধ্যে যুক্তি উপস্থাপন শেষ না হওয়ায় পরবর্তীতে জন্য ৩ ও ৪ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়।

মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় একটি মামলা করে দুদক।

২০১০ সালের ৫ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া বাকি আসামিরা হলেন- মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

এছাড়া জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় আরও একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (পলাতক), হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর সাবেক নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

জেএ/এআর/এনএফ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।