মানবতাবিরোধী অপরাধ : ওসমান ফারুকের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৩৬ এএম, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭

সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও বিএনপি নেতা ওসমান ফারুকের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় সংগঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত চলছে বলে জানিয়ছেন তদন্ত সংস্থার প্রধান আব্দুল হান্নান খান। মঙ্গলবার ধানমন্ডিতে তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জনান তিনি।

আব্দুল হান্নান বলেন, একাত্তরে সংগঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত করতে গিয়ে ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ জন শিক্ষকের নাম পাওয়া যায়। যারা স্বাধীনতাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। তাদের মধ্যে ড. ওসমান ফারুকের নামও রয়েছে। তখন তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন।

পরবর্তীতে শিক্ষামন্ত্রী এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টার দায়িত্ব পাওয়া ওসমান ফারুকের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।’

ওসমান ফারুকের বাড়ি কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার হাইধনখালী গ্রামে। তিনি করিমগঞ্জ-তাড়াইল নির্বাচনী এলাকার বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য।

বিশ্বব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার চাকরি ছেড়ে ১৯৯১ সালে তিনি দেশে ফিরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন। তার বাবা ড. ওসমান গণি ছিলেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত বিজ্ঞানি ও ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন ভিসি।

মুক্তিযুদ্ধের সময় ড. ওসমান ফারুক ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন। থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সরকারি বাসায়।

সাবেক এ অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, তিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় গোপনে স্বাধীনতাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। তিনি পাকিস্তানি সৈন্যদের তথ্য প্রদানসহ সেনা কর্মকর্তাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করতেন।

এ ছাড়া আলবদর বাহিনী গঠনে গোপনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সহযোগিতা করারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে দেশের একটি গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে ড. এম ওসমান ফারুক এবং তার এক ভগ্নিপতিসহ ১১ শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা যুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসে। সেই রিপোর্টের সূত্র ধরেই তদন্তে নামে যুদ্ধপরাধ তদন্ত সংস্থা।

ওসমান ফারুকের ছোট ভাই মার্কিন নাগরিক ড. ওসমান সিদ্দিকী মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া সাকা চৌধুরীর মামলা চলাকালে তার পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য দেয়ার জন্য এফিডেভিট করে ট্রাইব্যুনালের কাছে আবেন করেছিলেন। কিন্তু ট্রাইব্যুনাল তার আবেদন গ্রহণ করেননি।

এফএইচ/এমএএস/এমএমজেড/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।