আপন জুয়েলার্সের মালিকদের জামিন ২ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:৫৫ এএম, ২১ ডিসেম্বর ২০১৭

 

মুদ্রা পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে রাজধানীর গুলশান, ধানমন্ডি, রমনা ও উত্তরা থানায় শুল্ক গোয়েন্দার দায়ের করা ৫ মামলার মধ্যে তিন মামলায় দিলদারসহ আপন জুয়েলার্সের মালিকদের হাইকোর্টের দেয়া জামিন আগামী ২ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। ওই দিন আপিল বিভাগের নিয়মিত পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানির দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।

হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দারের চেম্বার জজ আদালত বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। ফলে আগামী ২ জানুয়ারি পর্যন্ত মালিকদের কেউ মুক্তি পাচ্ছেন না।

আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। আপন জুয়েলার্সের মালিক তিন ভাই দিলদার আহমেদ, গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস।

মানি লন্ডারিং আইনে করা পৃথক ৩ মামলায় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিম এবং তার দুই ভাই গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন আগামী ২ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত। ওই দিন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানির দিন নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।

মোতাহার হোসেন সাজু বলেন, তিন মামলায় আপন জুয়েলার্সের মালিক তিন ভাইকে দেওয়া জামিন ২ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করেছেন চেম্বারজজ আদালত। জামিন আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ লিভ টু আপিল ফাইল করেছে। আগামী ২ জানুয়ারি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানি হবে।

এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপন জুয়েলার্সের মালিকদের হাইকোর্টের দেয়া জামিন আজকের দিন (২১ডিসেম্বর) পর্যন্ত স্থগিত করেছিলেন মোহাম্মদ ইমান আলীর চেম্বারজজ আদালত। আজ নির্ধারিত দিনে শুনানি শেষে জামিন স্থগিতের মেয়াদ বাড়ালেন মির্জা হোসেইন হায়দারের চেম্বারজজ আদালত।

রাজধানীর গুলশান, ধানমন্ডি, রমনা ও উত্তরা থানায় আপন জুয়েলার্সের মালিকদের বিরুদ্ধে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের করা পাঁচ মামলার মধ্যে তিনটিতে গত ১৪ ডিসেম্বর তিন ভাইকে জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন হাইকোর্টের এক দ্বৈত বেঞ্চ।

তবে উত্তরা ও ধানমন্ডি থানার অপর দুটি মামলায় দিলদার আহমেদের জামিন আবেদনের শুনানি মুলতবি (স্ট্যান্ডওভার) রাখেন আদালত। তার আগে ২২ নভেম্বর আপন জুয়েলার্সের মালিকদের কেন জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। ১৩ ডিসেম্বর রুলের ওপর শুনানি শেষ হয়।

উল্লেখ্য, বনানীর একটি হোটেলে জন্মদিনের অনুষ্ঠানের নামে ডেকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া দুই তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় গত মে মাসে গ্রেফতার হন আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদারের ছেলে সাফাত আহমেদ।

এরপরই আপন জুয়েলার্সের ‘অবৈধ লেনদেন’-এর খোঁজে তদন্তে নামে শুল্ক গোয়েন্দা। মে মাসের শেষ দিকে আপন জুয়েলার্সের বিভিন্ন শোরুম থেকে ১৫ দশমিক ৩ মণ স্বর্ণ এবং ৭ হাজার ৩৬৯টি হীরার অলঙ্কার জব্দ করা হয়।

অনুসন্ধান শেষে গত ১২ আগস্ট আপন জুয়েলার্সের মালিক তিনভাই দিলদার আহমেদ, গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদের বিরুদ্ধে মুদ্রা পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে গুলশান, ধানমন্ডি, রমনা ও উত্তরা থানায় পাঁচটি মামলা করা হয়।

দুই মামলায় গত ২২ আগস্ট তিনভাই হাইকোর্ট থেকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন নেন। এরপর বিচারিক আদালতে হাজিরা না দেয়ায় গত ২৩ অক্টোবর তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। পরদিন আত্মসমর্পণ করলে তাদের কারাগারে পাঠান আদালত।

এফএইচ/আরএস/আরআইপি/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।