অভিজিৎ হত্যা : পুরস্কার ঘোষিত আসামির জবানবন্দি
লেখক অভিজিৎ রায় হত্যা মামলার আসামি ও নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের (আনসারুল্লাহ বাংলা টিম) অপারেশন (অপস) শাখার সদস্য আরাফাত রহমান আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাকে গ্রেফতারে ডিএমপি দুই লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল।
সোমবার তাকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে হাজির করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকমি সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
এর আগেও গত ২৫ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম একেএম মঈদ উদ্দিন সিদ্দকী পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন।
২৪ নভেম্বর রাতে ঢাকার সাভার থানাধীন আমিন বাজারের বরদেশি এলাকা থেকে ঢাকা জেলা ডিবি পুলিশের (উত্তর) সহায়তায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান জানান, ‘আরাফাত জানিয়েছে, সংগঠনের বড় ভাইয়ের (মেজর জিয়া) নির্দেশে এবং পরিচালনায় এ হত্যাকাণ্ডে তারা অংশ নিয়েছিলেন। জুলহাস-তনয়, নিলয় ও দীপন’ হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেছিলেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন গ্রেফতার হওয়া আরাফাত। তাকে গ্রেফতারে ডিএমপি দুই লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল। তার সাংগঠনিক নাম সিয়াম ওরফে সাজ্জাদ।’
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বইমেলা থেকে বের হওয়ার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় ব্লগার অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ওই ঘটনায় গুরুতর আহত হন অভিজিতের স্ত্রী রাফিদা আহমেদ। পরে শাহবাগ থানায় অভিজিতের বাবা অধ্যাপক ড. অজয় রায় একটি হত্যামামলা দায়ের করেন।
হত্যাকাণ্ডের কয়েকদিন পর আল-কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশ শাখা (একিউআইএস) ওই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকারের খবর দেয় জঙ্গিগোষ্ঠীর ইন্টারনেটভিত্তিক তৎপরতা নজরদারি করা ওয়েবসাইট ‘সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ।’
বাংলাদেশ সরকার অবশ্য বরাবরই বলে আসছে, এসব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠীর কোনো সম্পর্ক নেই।
জেএ/জেডএ/আইআই