পেটে গজ রেখে সেলাই : ভুয়া ডাক্তারকে গ্রেফতারের নির্দেশ
সন্তান প্রসবের সময় এক নারীর পেটে গজ রেখে অপারেশন শেষ করা পটুয়াখালীর ভুয়া ডাক্তার রাজন দাসকে আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে গ্রেফতার করে তাকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পটুয়াখালীর বাউফল থানার ওসিকে এই নির্দেশ দেয়া হয়। তাকে আটক করার জন্য প্রয়োজনে র্যাবের সহায়তা নিতেও বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এর আগে, রাজনকে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে আটক করে আদালতে হাজির করার আদেশ দেন আদালত। এ দিকে আদালতে পটুয়াখালীর সিভিল সার্জনের পক্ষে দাখিল করা প্রতিবেদনে ডাক্তার নামধারী রাজন দাসের সার্টিফিকেট ভুয়া প্রমাণিত হয়।
গত ২৩ জুলাই পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন ও বরিশাল মেডিকেলের গাইনি বিভাগের প্রধানসহ তিন জনকে তলব করেন হাইকোর্ট। এছাড়া পটুয়াখালীর বাউফলের নিরাময় ক্লিনিকের মালিককে হাজির হতে বলা হয়।
একটি জাতীয় দৈনিকে গত ২২ জুলাই ‘সাড়ে তিন মাস পর পেট থেকে বের হল গজ!’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. শহিদ উল্যাহ আদালতের নজরে আনার পর রুলসহ হাইকোর্ট আদেশ দেন।
ওই পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, অস্ত্রোপচারের সাড়ে তিন মাস পর বরিশালে মাকসুদা বেগম (২৫) নামের এক নারীর পেট থেকে গজ বের করা হয়। মুমূর্ষু অবস্থায় ওই নারীকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়। চিকিৎসকেরা বলেন, দীর্ঘদিন পেটের ভেতর গজ থাকায় খাদ্যনালীতে অনেকগুলো ছিদ্র হয়ে গেছে।
মাকসুদা পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বিলবিলাস গ্রামের মো. রাসেল সরদারের স্ত্রী। গত মার্চে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে মাকসুদা একটি কন্যা সন্তানের মা হন। তখন তার পেটে গজ রেখে সেলাই করে দেন চিকিৎসক।
এফএইচ/এআরএস/আইআই