মা-ছেলেকে হত্যা : তৃতীয় স্ত্রীর জবানবন্দি, স্বামী কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:৩৯ পিএম, ১৪ নভেম্বর ২০১৭

রাজধানীর কাকরাইলে মা ও ছেলেকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার নিহতের স্বামী আবদুল করিমের তৃতীয় স্ত্রী শারমীন মুক্তা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অপরদিকে করিমকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

মঙ্গলবার দুই দফা রিমান্ড শেষে তাদের ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রমনা থানার পরিদর্শক (ওসি-তদন্ত) আলী হোসেন। এসময় করিমকে কারাগারে আটক রাখার ও তার তৃতীয় স্ত্রীর জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন তিনি।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম আহসান হাবীব আসামি শারমীন মুক্তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এবং ঢাকা মহানগর হাকিম মাজহারুল হক আসামি করিমকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে ১০ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আমিরুল হায়দার চৌধুরী প্রত্যেককে তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ৩ নভেম্বর ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম খুরশীদ আলম তাদের ছয়দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

উল্লেখ্য, ১ নভেম্বর সন্ধ্যায় কাকরাইলের আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম রোডের ৭৯/এ বাড়িতে মা ও ছেলেকে গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। নিহতরা হলেন শামসুন্নাহার (৪৫) ও তার ছেলে শাওন (ও লেভেল শিক্ষার্থী)। নিহতের স্বামী আবদুল করিম পুরান ঢাকার শ্যামবাজারের ব্যবসায়ী। তিনি আদা-রসুন-পেঁয়াজের আমদানিকারক।

এ ঘটনায় ২ নভেম্বর নিহত শামসুন্নাহারের ভাই আশরাফ আলী বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয়েছে নিহতের স্বামী আব্দুল করিম, তার তৃতীয় স্ত্রী শারমীন মুক্তা, মুক্তার ভাই জনিসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে। মামলার পর নিহতের স্বামী আব্দুল করিম ও তার তৃতীয় স্ত্রী শারমীন মুক্তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

জেএ/এসএইচএস/আইআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।