নিজাম হাজারীর এমপি পদ নিয়ে শুনানিতে বিব্রত আদালত
ফেনী-২ আসন থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের নিজাম হাজারীর এমপি পদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের শুনানিতে বিব্রত হয়েছেন হাইকোর্ট।
প্রধান বিচারপতির নির্ধারণ করে দেয়া হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়ার একক বেঞ্চ এ বিব্রতবোধ করেন। রোববার বিব্রত হয়ে মামলার নথি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানোর আদেশ দেন তিনি। নিয়ম অনুযায়ী মামলাটি নিষ্পত্তিতে এখন প্রধান বিচারপতি অপর কোনো বেঞ্চ গঠন করবেন।
মামলাটি গত ৯ নভেম্বর এ বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়। হাইকোর্টের দ্বিধাবিভক্ত রায় দেয়ার পর রিট মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য বিচারপতি সৌমেন্দ্র সরকারের একক বেঞ্চে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু এ আদালতের প্রতি অনাস্থা জানান রিট আবেদনকারী ফেনীর যুবলীগ নেতা শাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া। এরপর নতুন বেঞ্চ গঠন করা হয়।
রোববার শুনানিতে রিটকারীর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিকী, সুব্রত চৌধুরী ও সত্যরঞ্জন মণ্ডল। নিজাম হাজারীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ও অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন এমপি। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আমিনুর রহমান টিকু।
বিচারপতি মো. এমদাদুল হক ও বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ৬ ডিসেম্বর দ্বিধাবিভক্ত রায় দেন। রায়ে জেষ্ঠ্য বিচারপতি নিজাম হাজারীর সংসদ সদস্য পদে থাকা অবৈধ ঘোষণা করেন। আর কনিষ্ঠ বিচারপতি সংসদ সদস্য পদে থাকাকে বৈধ ঘোষণা করেন। দ্বিধাবিভক্ত রায় দেয়ায় বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য বিচারপতি সৌমেন্দ্র সরকারের একক বেঞ্চ গঠন করেন প্রধান বিচারপতি। এর আগে গত ২ জুলাই দ্বিধাবিভক্ত রায়ের কপি প্রধান বিচারপতির কাছে জমা দেয়া হয়।
নিজাম হাজারীর কারাভোগ নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে ২০১৪ সালে ‘সাজা কম খেটেই বেরিয়ে যান সাংসদ’শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এ প্রতিবেদন যুক্ত করে রিট করা হয়। অস্ত্র মামলায় সাজা কম খাটার অভিযোগ এনে নিজাম হাজারীর এমপি পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন স্থানীয় যুবলীগ নেতা শাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া।
রিটে ২০১৪ সালের ৮ জুন হাইকোর্ট এক আদেশে ফেনী-২ আসন কেন শূন্য ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। রুলের ওপর শুনানি শেষে দ্বিধাবিভক্ত রায় দেন হাইকোর্ট। এরপর বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য একক বেঞ্চ গঠন করা হয়।
এফএইচ/এএইচ/জেআইএম