তদন্তে গাফিলতি : মিরপুর মডেল থানার এস আইকে হাইকোর্টে তলব
আলোচিত গৃহবধূ শাম্মী হত্যা মামলায় তদন্তে গাফিলতির কারণে মিরপুর মডেল থানার এস আই নওশের আলীকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ২১ নভেম্বর তাকে স্বশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্য দিতে বলেছেন আদালত।
পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। প্রতিবেদনটি নজরে আনেন দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরহাদ আহমেদ।
পরে খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, সোমবার পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন তিনি। সোম ও মঙ্গলবার দুদিন শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। তিনি বলেন, শাম্মী হত্যা মামলায় তদন্তে গাফিলতির জন্য মিরপুর মডেল থানার এস আই নওশের আলীকে আগামী ২১ নভেম্বর স্বশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্য দিতে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন। উল্লেখ্য, গত ৫ অক্টোবর দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় ‘গৃহবধূ শাম্মী হত্যা মামলা‘ মাকে বাবা অনেক কষ্ট দিয়ে মেরেছে’ তদন্ত কর্মকর্তার গড়িমসির অভিযোগ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৭ জুন রাতে রাজধানীর কল্যাণপুরে ভাড়া বাসায় একটি বায়িং হাউসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন টিটু তার স্ত্রী শামিমা লাইলা আরজুমান্না খান শাম্মীকে অমানবিক নির্যাতন করে হত্যা করে। পরে চিকিৎসার নামে হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর ছোট ভাই মো. ফরহাদ হোসেন খান বাবু বাদী হয়ে ৮ জুন মিরপুর মডেল থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ ঘাতক স্বামী আলমগীর ও তার তৃতীয় স্ত্রী ইসরাত জাহান মুক্তাকে গ্রেফতার করে।
অভিযোগ উঠেছে, আলোচিত এ মামলার তদন্ত নিয়ে গড়িমসি করছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার এসআই মো. নওশের আলী। মামলার বাদী মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, ঢাকায় অবস্থানরত আসামির ধনাঢ্য ভগ্নিপতি মো. আবদুল বাছেদ অর্থের মাধ্যমে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পরিবর্তন এবং মামলাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহে কাজ করছেন। আর তাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নওশের আলী প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে ঘাতক আসামির পক্ষে ভূমিকা রাখছেন।
এফএইচ/ওআর/আইআই