বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধে হাইকোর্টের রুল
বাংলাদেশি দর্শকদের জন্য বিদেশি চ্যানেলে সব ধরনের বিজ্ঞাপন বন্ধের নির্দেশনা কেন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে তথ্য সচিব, বাণিজ্য সচিব, রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, বিটিভির মহাপরিচালক ও পুলিশের আইজিকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।
এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেলে বাংলাদেশের দর্শকদের জন্য সব ধরনের পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া এ রিট দায়ের করেন।
পরে তিনি বলেন, ২০০৬ সালে প্রণীত ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক কার্যক্রম পরিচালনা আইনের ১৯ ধারার ১৩ উপধারায় বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের দর্শকদের জন্য বিদেশি কোনো টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচার করা যাবে না’। কিন্তু সম্প্রতি বিদেশি টিভি চ্যানেলে অহরহ বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। কতিপয় কোম্পানি এর মাধ্যমে অবৈধভাবে দেশের টাকা বিদেশে পাচার করছে। এতে দেশীয় টিভি চ্যানেলগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে সম্প্রচার হয় এমন বিদেশি চ্যানেলে দেশীয় বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছিল টেলিভিশন চ্যানেল মালিক, কলা-কুশলী ও বিজ্ঞাপনদাতাদের সংগঠন- ‘মিডিয়া ইউনিটি।’
সংগঠনটির নেতাদের দাবি, কিছু বিদেশি চ্যানেলের বাংলাদেশে সম্প্রচারকৃত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি বিজ্ঞাপন দেখানো হয়। এসব বিজ্ঞাপন ওই দেশে না দেখিয়ে কেবল বাংলাদেশি দর্শকদের দেখানো হয়, যা বেআইনি।
তারা বলেন, এভাবে বিজ্ঞাপন প্রচারের কারণে দেশের অর্থ বিদেশে পাচার হচ্ছে এবং দেশীয় টেলিভিশন চ্যানেল মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
এফএইচ/এমএমজেড/জেআইএম