সাংবাদিক শিমুল হত্যা : মেয়র মিরুর জামিন মেলেনি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:২০ পিএম, ০৮ অক্টোবর ২০১৭

দৈনিক সমকালের সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের প্রতিনিধি আবদুল হাকিম শিমুল হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রধান আসামি বরখাস্তকৃত মেয়র হালিমুল হক মিরুর জামিন মেলেনি হাইকোর্টে। ফলে মেয়র মিরুকে আপাতত কারাগারেই থাকতে হচ্ছে।

পৃথক দুটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্র ও আসামি উভয়পক্ষের শুনানি শেষে রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি রাজিক আল-জলিলের সন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আবেদন দুটি দৈনন্দিন কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন।

আদালতে আসামি মিরুর পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, শ ম রেজাউল করিম ও আবদুল আলিম মিয়া জুয়েল। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে জামিন আবেদনের তীব্র বিরোধীতা করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ, কাজী মো. মাহমুদুল করিম রতন ও শফিকুজ্জামান রানা।

ওই বেঞ্চের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, তিনদিন শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার আদালত রোববার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য রেখেছিলেন। আদালত রোববার আবেদন দুটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন। এর আগেও গত ২৪ মে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ মিরুর জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছিলেন।

জানা গেছে, হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা মামলায় জামিন সংক্রান্ত আবেদনের ওপর উভয়পক্ষের শুনানি শেষে রোববার রায়ের জন্য দিন ধার্য ছিল। আজ বিচারক এ মামলায় আসামিকে জামিন প্রদান করবেন না মর্মে অভিমত ব্যক্ত করেন। এ পর্যায়ে উপস্থিত আসামিপক্ষের আইনজীবী শ ম রেজাউল করিম আবেদনটি খারিজ না করে কার্যতালিকা থেকে বাদ দেয়ার অনুরোধ জানান। এরপর মামলাটি তালিকা থেকে বাদ দেন আদালত। তবে, অন্য আদালতে ফের জামিন আবেদনটি শুনানি করা যাবে। আদালত সংশ্লিষ্টরা জানান, আদালত আসামিকে জামিনে আপত্তি প্রকাশ করায় আইনজীবীর আবেদনটি ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।

গত ২ ফেব্রুয়ারি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে পৌর মেয়রের দুই ভাই মিন্টু ও পিন্টুর সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতা বিজয়ের গণ্ডগোল বাধে। এরপর বিজয়কে তুলে নিয়ে মেয়রের বাড়িতে আটকে মারধর করে হাত ভেঙে দেয়া হয়। এ নিয়ে নিজ দলের একটি পক্ষের সঙ্গে মিরু, মিন্টু, পিন্টু, নাছিরসহ মেয়রের সহযোগীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। ওই সময় পেশাগত দায়িত্ব পালন, খবর সংগ্রহ ও ছবি তুলতে গিয়ে সাংবাদিক শিমুল গুলিবিদ্ধ হন। পরদিন বগুড়া থেকে ঢাকায় আনার পথে মারা যান তিনি। এ ঘটনায় শিমুলের স্ত্রী নহৃরুন্নাহার বাদী হয়ে মেয়র মিরু ও তার সহোদর মিন্টু এবং উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা নাছিরসহ জ্ঞাত ১৮ এবং অজ্ঞাত আরও প্রায় ২২ জনসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।

হত্যাকাণ্ডের তিন মাস পর গত ২ মে শিমুল হত্যা মামলার চার্জশিট দেয় পুলিশ। চার্জশিটে বলা হয়, মেয়র মিরুর গুলিতেই শিমুলের মৃত্যু হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে মেয়র মিরুর লাইসেন্স করা শটগান ছাড়াও তার ভাই হাবিবুল হক মিন্টুর অবৈধ পাইপগান ব্যবহার করা হয়। মিরু ও মিন্টু দু’জনই ঘটনার দিন শিমুলকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন।

এফএইচ/জেডএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।