প্রধান বিচারপতির ছুটি ‘নজিরবিহীন’ নয় : মাহবুবে আলম
‘অসুস্থতা’র কারণ দেখিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে এক মাসের ছুটি চেয়েছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহা। বিষয়টি তার ‘ব্যক্তিগত’, তিনি ছুটি চাইতেই পারেন। এটা নিয়ে তো অবাক হওয়ার কিছু নেই।
প্রধান বিচারপতির ছুটি নেয়া প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে এমন উত্তর দেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা মাহবুবে আলম।
“অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে আমি মনে করি, তার ছুটি চাওয়ার বিষয়টি ‘নজিরবিহীন’ কোনো ঘটনা নয়। তার সমস্যা থাকতেই পারে।”
প্রসঙ্গত, সোমবার বিকেলে রাষ্ট্রপতির কাছে এক মাসের ছুটি চেয়ে আবেদন করেন প্রধান বিচারপতি।
এদিকে সোমবার বিকেলে অ্যাটর্নি জেনারেল নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আরও বলেন, উনি (প্রধান বিচারপতি) ছুটি নিয়েছেন, এটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। একজন মানুষের সুবিধা-অসুবিধা থাকতেই পারে। তিনি বিদেশ থেকে আসার পর আমার সঙ্গে দেখা হয়নি। জানি না ছুটির কী কারণ?
৩৯ দিন পর মঙ্গলবার খুলছে সুপ্রিম কোর্ট। এদিন থেকে প্রধান বিচারপতি ছুটিতে যাওয়ার আবেদন করেন। এখন নিয়ম অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি প্রজ্ঞাপন জারি করবেন তার অবর্তমানে প্রধান বিচারপতি হিসেবে কাকে দায়িত্ব দেয়া হবে।
প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার অবর্তমানে বিচারপতি মো. আব্দুল ওয়াহহাব মিঞা ও বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন অথবা পর্যায়ক্রমে তাদের দু’জনকেই প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব দেয়া হতে পারে বলে জানা গেছে।
আগামী বছরের ৩১ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার চাকরির মেয়াদ শেষ হবে।
ষোড়শ সংশোধনী বাতিল সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ের পরপরই প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সরকারের টানাপোড়েন শুরু হয়। এই টানাপোড়েন প্রকাশ্য রূপ নেয় প্রধান বিচারপতি বেঞ্চে বসে পাকিস্তানের রায়ের প্রতিক্রিয়ার উদাহরণ টানলে। আওয়ামী লীগের প্রায় সব নেতা এবং অঙ্গ-সংগঠন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটসহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ প্রধান বিচারপতির সমালোচনা শুরু করেন। সবাই প্রকাশ্যে তার পদত্যাগ দাবি করেন।
এরপর এক বিবৃতিতে প্রধান বিচারপতি বলেন, তার বক্তব্য গণমাধ্যমে ভুলভাবে এসেছে, ফলে তাকে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়েছে। ভবিষ্যতে তার বক্তব্য প্রচারে তিনি সর্বাধিক সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
এফএইচ/এমএআর/আরআইপি