সিগারেটের প্যাকেটের নিচের অংশেই থাকছে স্বাস্থ্য সতর্কবাণী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:৩৪ এএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭

তামাকপণ্যের প্যাকেট ও কৌটার উপরিভাগে অন্যূন ৫০ শতাংশ স্থানজুড়ে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী সম্পর্কিত গণবিজ্ঞপ্তির বিষয়ে আদালতের স্থগিতাদেশ ছিল। এরপর এনবিআরের পক্ষ থেকে সচিত্র সতর্কতার বিষয়টি এক বছরের জন্য স্থগিত করার দবি জানানো হয়। এখন এটি আটকে যাওয়ার পথে।

তামাকজাত পণ্যের প্যাকেট ও কৌটার উপরিভাগে অন্যূন ৫০ শতাংশ জুড়ে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী মুদ্রণ বাধ্যতামূলক থাকলেও তা আর হয়ে উঠছে না।

ফলে মঙ্গলবার থেকে গণবিজ্ঞপ্তিটি কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও তা এখন আর কার্যকর হচ্ছে না। অর্থাৎ প্যাকেটের নিম্নভাগে বর্তমানে যেমন সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী চিত্রিত আছে ঠিক তেমনই থাকবে। অর্থাৎ কোম্পানিগুলো প্রচলিত মোড়কেই সিগারেট বাজারজাতকরণ করতে পারবে।

সম্প্রতি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের (এনটিসিসি) গণবিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে রিট পিটিশন দায়ের করেছিল সিগারেট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ সিগারেট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএমএ)।

পিটিশনে বিসিএমএ জানায়, ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০১৫ এর ৯(চ) অনুযায়ী সচিত্র সতর্কবাণী এমনভাবে ছাপাতে হবে, যেন তা স্ট্যাম্প বা ব্যান্ডরোল কিংবা অন্য কোনো কারণে ঢেকে না যায়। কিন্তু মূসক আইনে স্ট্যাম্প বা ব্যান্ডরোল প্যাকেটের উপরিভাগে যেভাবে লাগাতে বলা হয়েছে তাতে করে ছবি ঢাকা পড়ে যাবে।

ফলে প্যাকেটের উপরিভাগে অন্যূন ৫০ শতাংশ স্থানজুড়ে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী গণবিজ্ঞপ্তি বাস্তবায়ন হলে তা ধূমপান ও তামাকজাতদ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা-২০১৫ এর সাথে সাংঘর্ষিক হবে। এসব বিষয় আমলে নিয়ে হাইকোর্ট এক রায়ে গণবিজ্ঞপ্তিটি স্থগিত করেন।

ইতোমধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) এ সংক্রান্ত এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বিসিএমএ, আইন মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সভার গৃহীত সিদ্ধান্ত চিঠির মাধ্যমে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে জানিয়ে দেয় এনবিআর। চিঠিতে গণবিজ্ঞপ্তিটি এক বছর স্থগিত রাখতে রাজস্ব বোর্ডের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ সময় গরিমসির পর গত বছরের ১৯ মার্চ সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণীসহ তামাকজাত দ্রব্য বাজারজাতকরণ শুরু হয় বাংলাদেশে। সিগারেট কোম্পানিগুলো প্যাকেটের নিম্নভাগে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী ছাপলেও অন্যান্য তামাকজাত পণ্যে ছাপার এ হার নগণ্য।

এফএইচ/এনএফ/আইআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।