ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ জাতীয়করণের নির্দেশনা চেয়ে রিট

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:২৬ এএম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭

পুরান ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও বাহদুর শাহ পার্কের পাশেই অবস্থিত ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজকে (জাতীয়) সরকারিকরণের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছে হাইকোর্টে।

রিটে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে সরকারিকরণের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ কেন নেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।

সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।

রিটে স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ, কলেজের পরিচালনা পর্ষদের (এডহক) চেয়ারম্যান, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউশন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে বিবাদী করা হয়েছে।

মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি এসএম এমদাদুল হক ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত অবকাশকালীন বেঞ্চে আবেদনটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় থাকবে বলেও জানান আইনজীবী।

ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, ব্রিটিশ আমলে ১৯২৬ সালে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউশন প্রতিষ্ঠা করা হয়। তখন থেকে সরকারের অর্থায়নে ও নিয়ন্ত্রণে এটি পরিচালিত হয়ে আসছে। পাকিস্তান আমলে ১৯৫৮ সালে চার বছরের মেডিকেল কোর্স (এলএমএফ) চালু হলেও পরে তা বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে দেশ স্বাধীনের পর ১৯৯৪-১৯৯৫ সেশনে ইনস্টিটিউশনের পাশাপাশি বেসরকারিভাবে মেডিকেল কলেজ করে ৬৩ শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়।

২০১৬-২০১৭ সেশেনে ২৩তম ব্যাচে ১৩০ জনকে ভর্তি করা হয়। এ পর্যন্ত ১২৮১ জন শিক্ষার্থী চিকিৎসা বিজ্ঞানে ডিগ্রি অর্জন করেছে।

তিনি বলেন, প্রত্যেক মেডিকেল কলেজের একটি হাসপাতাল থাকতে হয়। অথচ এখানে সরকারি হাসপাতাল আছে কিন্তু কলেজ বেসরকারি। ১৯২৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এ হাসপাতালকে সরকারিকরণের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। অথচ সরকারের সেখানে অর্থ ব্যয় হয়েছে। এদিকে কলেজের নামে বেসরকারিভাবে ছাত্র ভর্তি করে লাখ টাকা নেয়া হয়েছে। তাই ১৯২৬ সালের এই ইনস্টিটিউটকে কলেজসহ সরকারি করণের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে রিট দায়ের করা হয়েছে।

এফএইচ/এনএফ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।