আপিল করবেন নূর হোসেন
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের রায়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের (নাসিক) সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন, র্যাব-১১-এর চাকরিচ্যুত সাবেক অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মুহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন, লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাসুদ রানাসহ ১৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
এছাড়া ১১ জনের দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নূর হোসেনের আইনজীবী এস আর এম লুৎফর রহমান আখন্দ বলেন, আমরা এই রায়ে সংক্ষুব্ধ, আমরা ন্যায়বিচার পাইনি। আদালত আইনের বিধান ও লিগ্যাল সাবমিশন বিবেচনায় না নিয়ে রায় দিয়েছেন। আমরা সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করব। রায়ের কপি পেয়ে আগে আমরা সিভিল মিস পিটিশন (সিএমপি) করব।
তিনি আরও বলেন, নিহত নজরুলের স্ত্রী পূর্বশত্রুতার জের ধরে নূর হোসেনসহ ছয়জনের নামে মামলা করেন। মামলার চার্জশিটে পাঁচজনকে বাদ দিয়ে শুধু নূর হোসেনের নাম রাখা হয়েছে। সেই পাঁচজনকে কেন বাদ দেয়া হলো, শুধু নূর হোসেনকে কেন রাখা হলো চার্জশিটে তা লেখা নেই।
মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে রায় পড়া শুরু হয়। বেলা ১টায় এক ঘণ্টার জন্য বিরতিতে যান আদালত। বিরতির পর বেলা সোয়া ২টা থেকে ফের রায় পড়া শুরু করেন বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম।
আলোচিত মামলার শুনানি শেষে গত ২৬ জুলাই রায় ঘোষণার জন্য ১৩ আগস্ট দিন ধার্য করে আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। এরপর ১৩ আগস্ট আদালত রায় না দিয়ে তারিখ পিছিয়ে আজ (২২ আগস্ট) রায় ঘোষণার দিন ঠিক করেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহৃত হন নাসিক কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন। তিনদিন পর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে একে একে ভেসে ওঠে ছয়টি মরদেহ। পরদিন মেলে আরেকজনের মরদেহ। নিহত অন্যরা হলেন নজরুলের বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম ও চন্দন সরকারের গাড়িচালক মো. ইব্রাহীম।
ঘটনার একদিন পর নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বাদী হয়ে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা (পরে বহিষ্কৃত) নূর হোসেনসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেন।
এআর/জেডএ/এমএস