পদ্মা সেতু : মিথ্যা গল্প সৃষ্টিকারীদের খুঁজতে কমিশন গঠনের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:১৭ এএম, ০২ আগস্ট ২০১৭
প্রতীকী ছবি

পদ্মা সেতু নির্মাণ চুক্তির বিষয়ে মিথ্যা গল্প সৃষ্টিকারী ও ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে এখন পর্যন্ত তদন্ত কমিশন গঠন না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে কমিশন গঠন করে এ সংক্রান্ত তথ্য আদালতে দাখিলেরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে শুনানি শেষে বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে গত ২০ মার্চ পদ্মা সেতু নির্মাণ চুক্তি নিয়ে দুর্নীতির মিথ্যা কাহিনি সৃষ্টির নেপথ্যে ষড়যন্ত্রকারী কারা এবং তা তদন্তে কমিশন গঠন হয়েছে কি না- আগামী ৭ মে'র মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

গত ১৫ ফেব্য়ারুরি পদ্মা সেতু নির্মাণ চুক্তি নিয়ে দুর্নীতির মিথ্যা কাহিনি সৃষ্টির নেপথ্যে প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে একটি কমিশন বা কমিটি গঠনের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে রুলে প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারীদের বিচারের আওতায় কেন আনা হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়।

রুলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, যোগাযোগ সচিব ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যানকে দুই সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়।

একই সঙ্গে ‘ইনকুয়ারি অ্যাক্ট ১৯৫৬’ অনুসারে কমিশন বা কমিটি গঠনে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা ৩০ দিনের মধ্যে আদালতকে অবহিত করতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

১৪ ফেব্রুয়ারি ‘ইউনূসের ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান, বিচার দাবি’ শীর্ষক একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এটিসহ কয়েকটি দৈনিকের প্রতিবেদন নজরে এলে আদালত স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ এ আদেশ দেন।

বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো প্রকল্প পদ্মা সেতুতে অর্থায়নের জন্য চুক্তি করেও পরে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে তা স্থগিত এবং পরে বাতিল করে। পরে তাদের বাদ দিয়েই নিজস্ব অর্থায়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ।

পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজ তদারকির পাঁচ কোটি ডলারের কাজ পেতে এসএনসি-লাভালিনের কর্মীরা ২০১০ ও ২০১১ সালে বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের ঘুষ দেয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন বলে মামলা হয়েছিল কানাডার আদালতে। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে কানাডার আদালত গত ১০ ফেব্রুয়ারি ওই মামলার তিন আসামিকে খালাস দেন।

রায়ে বিচারক বলেছেন, এ মামলায় প্রমাণ হিসেবে যেগুলো উপস্থাপন করা হয়েছে সেগুলো ‘অনুমানভিত্তিক, গাল-গল্প ও গুজবের বেশি কিছু নয়’।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবরই বলে আসছেন, পদ্মা সেতু প্রকল্প নিয়ে বিশ্বব্যাংকের অভিযোগ তোলা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ এবং এতে বাংলাদেশিরাও জড়িত ছিলেন। সম্প্রতি সংসদে তিনি বলেন, হিলারি ক্লিনটনকে দিয়ে পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন আটকে ছিলেন নোবেলজয়ী বাংলাদেশী মুহাম্মদ ইউনূস এবং তাতে বাংলাদেশের এক সম্পাদকেরও ভূমিকা ছিল।

এফএইচ/এআরএস/এমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।