মানবতাবিরোধী অপরাধ : ১৬ আসামির চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:১৯ এএম, ২৭ জুলাই ২০১৭

একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় যশোর ও শেরপুরের মোট ১৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার ধানমণ্ডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তদন্ত সংস্থার জ্যেষ্ঠ সদস্য এম সানাউল হক।

শিগগিরই এই দুই অঞ্চলের আসামিদের বিষয়ে প্রতিবেদন প্রসিকিউশনের কাছে জমা দেওয়া হবে বলে এ সময় জানান তিনি।

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় যশোর অঞ্চলের আসামিদের মধ্যে আব্দুল ওহাব মোল্লা (৮০), ওমর আলী শেখ (৬৪), বদরোদ্দোজ ওরফে বদিউজ্জামান (৭৫), মো. দাউদ শেখ (৬৭) ও গুলজার হোসেন খনিকে (৭৫) গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর সাত আসামি পলাতক রয়েছেন।

তাদের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ২১ মার্চ থেকে তদন্ত শুরু করে চার অভিযোগে ২৭ জুলাই শেষ করা হয়। মামলায় ৪৩৪ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেন তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) আব্দুল্লাহ আল মামুন। এ মামলায় ৭৬ জন সাক্ষী, একজন তদন্ত কর্মকর্তা ও ১২ জন জব্দ তালিকার সাক্ষী রয়েছে।

অন্যদিকে, শেরপুর অঞ্চলের আসামিদের মধ্যে এএসএম আনিসুজ্জামান ফারুক (৫৮), একেএম খান আকরাম হোসেন (৬২) ও এমদাদুল হক ওরফে খাজা ডাক্তারকে (৭৪) গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর এক আসামি পলাতক রয়েছেন।
শেরপুরের মামলায় ২০১৫ সালের ১৯ নভেম্বর থেকে তদন্ত শুরু করে ২৬ জুলাই শেষ করে ৫৪ পৃষ্ঠার মুল প্রতিবেদন। মামলার মোট ৬০ জন সাক্ষী রয়েছেন। এছাড়া ঘটনার সাক্ষী ৩১ জন, জব্দ তালিকার ২ জন এবং আইও একজন।

তদন্তে অভিযুক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে আটক, অপহরণ, নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ, হত্যা এবং গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।

এদিকে, আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা থেকে যথাক্রমে ৫১ এবং ৫২তম তদন্ত প্রতিবেদন শেষ করা হয়েছে বলেও জানান এম সানাউল হক।

মামলায় ৫১ নম্বর তদন্ত প্রতিবেদনে শেরপুরের চার আসামির বিষয়ে তদন্ত করেছেন মামলার আইও মনোয়ারা বেগম। প্রতিবেদনে মো. এমদাদুল হক, একে এম আকরাম হোসেন এবং এস এম আমিনুজ্জামানফারুক বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে উল্লেখকরা হয়েছে।

৫২ নম্বর তদন্ত প্রতিবেদনের (যশোর) আইও ছিলেন আবদুল্লাহ আল মামুন। প্রতিবেদনে যশোরের মো. খন্দকার শওকত আলী বাবুলের রাজনৈতিক পরিচয় হিসেবেবিএনপি, নড়াইলের মো. গুলজার হোসেন খানের রাজনৈতিক পরিচয় আওয়ামী লীগ এবং মো. দাউদ শেখের রাজনৈতিক পরিচয় জামায়াতে ইসলামী উল্লেখ করা হয়েছে।

এছাড়া মো.বদরুদ্দোজা জামায়াতে ইসলামী, মো. ওমর আলী শেখ ও আব্দুল ওহাব মোল্লার রাজনৈতিক পরিচয় উল্লেখ করা হয়েছে তৎকালীন মুসলীম লীগ সমর্থক হিসেবে।

সংবাদ সম্মেলনের শেষ পর্যায়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সানাউল হক জানান, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ওসমান ফারুকের বিষয়ে তদন্ত চলছে এবং ধনকুবের মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে।

এফএইচ/এসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।