নারায়ণগঞ্জের সাত খুন পূর্বপরিকল্পিত : অ্যাটর্নি জেনারেল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:৪৬ পিএম, ১৯ জুলাই ২০১৭

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা আপিল শুনানি অব্যাহত রয়েছে। শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর সাত খুনের ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত।

বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানির সময় তিনি এসব কথা বলেন।

হাইকোর্টের মামলায় আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষ করার পর আজ রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেছে। আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এ মামলার রাষ্ট্রপক্ষের ৭২ নম্বর সাক্ষী সৈনিক মিলন হোসেন তার জবানবন্দিতে বলেছেন, মেজর আরিফ ঘটনার সাতদিন আগে আসামি পূর্ণেন্দু বালাসহ ১২ জনকে যেন ডিউটিতে না দেয়া হয় এই মর্মে নির্দেশ দিয়েছিলেন।

এছাড়া রাষ্ট্রপক্ষের ৬৪ নম্বর সাক্ষী আব্দুস সালাম শিকদার (র‌্যাবের ডিএডি) তার জবানবন্দিতে বলেছেন, ২৭ এপ্রিল বেলা ১১টায় লে. কর্নেল রানা তাকে মোবাইল ফোনে ফতুল্লা থানার শিবু মার্কেট এলাকায় চেকপোস্ট বসানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

তার নির্দেশ মোতাবেক ওই চেকপোস্টে ডিউটিকালীন সময়ে একটি সাদা গাড়িতে পাঁচজন এবং একটি কালো রঙের গাড়িতে দুই ব্যক্তিকে দেখতে পাই। সাদা রঙের গাড়িতে মেজর আরিফ ও কালো রঙের গাড়িতে লে. কর্নেল রানা ছিলেন।

সাক্ষীদের এমন জবানবন্দিতে প্রমাণ হয়, নারায়ণগঞ্জের সাত খুন ছিল পূর্বপরিকল্পিত।

এর আগে এ মামলার শুনানিতে সংশ্লিষ্ট আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ আদালতে বলেছেন, এই মামলার ২১ জন সাক্ষী তাদের জবানবন্দিতে স্বীকার করেছেন এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আসামিরা জড়িত ছিল।

পরে আজকের শুনানি শেষে এই মামলার কার্যক্রম আগামীকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মুলতবি করেছেন আদালত। 

গত ২২ মে থেকে নারায়ণগঞ্জের সাত খুন মামলার ডেথরেফারেন্স ও আপিল শুনানি শুরু হয়। প্রথম দিনের শুনানিতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এম এ মান্নান মোহন পেপারবুক পাঠ শুরু করেন।

এর আগে ১৭ মে বুধবার এ মামলাটি শুনানির জন্য বেঞ্চ নির্ধারণ করেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা।

তারও আগে দুই মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক পাঁচ আসামির পক্ষে এক সপ্তাহের মধ্যে আইনজীবী (স্টেট ডিফেন্স ল’ইয়ার) নিয়োগ দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের অপর একটি বেঞ্চ।

গত ১৬ জানুয়ারি চাঞ্চল্যকর সাত খুনের দুই মামলার রায়ে নূর হোসেন ও র‌্যাব থেকে বরখাস্ত তিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালত।

মামলার ৩৫ জন আসামির মধ্যে বাকি ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এরপর হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখা থেকে মামলার সব নথি বিজি প্রেসে পাঠানো হয়। এরপরই বিজি প্রেস পেপারবুক প্রস্তুত করে গত ৭ মে হাইকোর্টে পাঠায়।

এফএইচ/জেএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।