ঢাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষকের ৫৭ ধারায় মামলা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক আবুল মনসুর আহমেদ একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ফাহমিদুল হকের বিরুদ্ধে ৫৭ ধারায় মামলা করেছেন। বুধবার সন্ধ্যায় শাহবাগ থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়।
মামলায় আবুল মনসুর আহমেদ অভিযোগ করেছেন, ৬৯ জন সদস্য আছেন, বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক এমন একটি ফেসবুক গ্রুপে ফাহমিদুল হক তাঁর বিরুদ্ধে সম্মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছেন।
জানা গেছে, বিভাগের মাস্টার্স পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশে বিলম্ব হওয়ায় শিক্ষকদের দুই পক্ষের মধ্যে কয়েক দিন ধরেই অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগ চলছিল। বিষয়টি নিয়ে ফাহমিদুল হক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখেন। এতে একটি মহলের বিরাগভাজন হন তিনি।
মামলার এজাহারে আবুল মনসুর আহমেদ অভিযোগ করেছেন, ফাহমিদুল হক লিখেছেন, আবুল মনসুরের কারণে মাস্টার্সের ফলাফল দীর্ঘসূত্রতায় পড়েছে। যে কারণে বিভাগের আরেক অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন বিপদে ও হয়রানির মধ্যে পড়েছেন এবং বিভাগের একাডেমিক পরিবেশ কলুষিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কন্ট্রোলার অফিস ও প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে সামান্য একটি ঘটনাকে জটিল করার বিষয়ে অসামান্য অবদান রাখা এবং শত্রুতামূলক উদ্যোগ গ্রহণের জন্যও ফাহমিদুল তাঁকে (আবুল মনসুরকে) অভিযুক্ত করেছেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগের তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হোসেন।এ বিষয়ে মামলায় অভিযুক্ত সহযোগী অধ্যাপক ফাহমিদুল হক বলেন, ‘বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। আমি আইনগতভাবে লড়ব।’
প্রসঙ্গত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক নাজমুল হোসেনের বিরুদ্ধে সম্প্রতি ৫৭ ধারায় মামলা হয়। এর প্রতিবাদে ও ৫৭ ধারা বাতিলের দাবিতে বিভাগের শিক্ষার্থীরা গত রোববার ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করেন। এর তিন দিনের মাথায় আজ একই বিভাগের সহকর্মীর বিরুদ্ধে অপর সহকর্মী মামলা দায়ের করলেন।
ওআর/বিএ