২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা : নির্দোষ দাবি আরও তিনজনের
বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন হরকাতুল জিহাদের আরও তিন সদস্য। এ নিয়ে আদালতে ১৯ আসামি নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করলেন।
মঙ্গলবার ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নুরউদ্দিনের আদালতে হরকাতুল জিহাদের সদস্য উজ্জল ওরফে রতন, আবু বক্কর ওরফে সেলিম হাওলাদার ও মাওলানা ইয়াহিয়া নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। আদালত অপর আসামিদের আত্মপক্ষের সমর্থনের জন্য বুধবার দিন ধার্য করেন।
এর আগে হরকাতুল জিহাদের সদস্য মাওলানা আবু তাহের, আবু জানডাল, রফিকুল ইসলাম সবুজ, আরিফ হাসান সুমন, হোসেন আহম্মেদ তামিম মহিবুল্লাহ ওরফে অভি, মাওলানা আবু সাঈদ ওরফে ডা. জাফর, আবুল কালাম আজাদ ওরফে বুলবুল, মো. জাহাঙ্গীর আলম, শাহদাত উল্লাহ জুয়েল, মাওলানা শেখ আব্দুস সালাম, আব্দুল মাজেদ, আব্দুল মালেক, মাওলানা আব্দুর রউফ, মাওলানা আব্দুল হান্নান ওরফে সাব্বির ও মাওলানা শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ আত্মপক্ষ সমর্থন করেন। আলোচিত এ মামলায় ৫১১ জন সাক্ষীর মধ্যে ২২৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ভয়াবহ ওই হামলায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন দলের তিন শতাধিক নেতাকর্মী।
ওই ঘটনার পরদিন মতিঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলাটি প্রথমে তদন্ত করে থানা পুলিশ। পরে তদন্তের দায়িত্ব পায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর মামলাটি যায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি)। ২০০৮ সালের ১১ জুন সিআইডির জ্যেষ্ঠ এএসপি ফজলুল কবির মুফতি হান্নানসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন।
২০০৯ সালের ৩ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটি অধিকতর তদন্তের আবেদন করলে ট্রাইব্যুনাল তা মঞ্জুর করেন। মামলাটি তদন্তের ভার পান সিআইডির পুলিশ সুপার আব্দুল কাহ্হার আখন্দ। তিনি ২০১১ সালের ৩ জুলাই তারেক রহমানসহ ৩০ জনের নাম যুক্ত করে মোট ৫২ জনের নামে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি অভিযোগপত্র দেন।
তবে মামলায় জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নান ও জেএমবির সদস্য শহিদ শহিদুল আলম বিপুলের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় তাদের নাম বাদ দেয়া হয়। বর্তমানে এ মামলায় আসামির সংখ্যা ৪৯। এই ৪৯ জনের মধ্যে তারেক রহমানসহ পলাতক রয়েছেন ১৮ জন। এছাড়া জামিনে রয়েছেন ৮ জন ও কারাগারে ২৩ জন।
জেএ/ওআর/এমএস