রিট দায়েরকারীকে হুমকি : ক্ষমা চাইতে বললেন আদালত


প্রকাশিত: ১২:৩২ পিএম, ০২ জুলাই ২০১৭

বাড়ির মালিকদের হোল্ডিং ট্যাক্স প্রদানে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের (উত্তর ও দক্ষিণ) দেয়া নোটিসের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়েরকারীকে হুমকি দেয়া হয়েছে। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে এ সংক্রান্ত অভিযোগ করা হয়েছে।

অভিযোগ আমলে নিয়ে রিটকারীর কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য হুমকিদাতাকে সিটি কর্পোরেশনের আইনজীবীর প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে মামলাটি চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে মতামত দেয়া হয়েছে।

হুমকি দেয়ার পরে এ সংক্রান্ত রিট প্রত্যাহার করে নিতে রোববার আদালতে গেলে বিষয়টি অবগত হন হাইকোর্টের বিচারপতি তারিকুল হাকিম ও বিচারপতি এম ফারুকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ।

পরে রিটকারীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মুক্তাদির রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

আইনজীবী মুক্তাদির রহমান বলেন, আমার মক্কেল আজ তার দায়েরকৃত রিট প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেন। আদালত তখন রিট প্রত্যাহারের কারণ জানতে চান। তখন রিটকারীর পক্ষ থেকে বলা হয়, রিট প্রত্যাহারের জন্য সিটি কর্পোরেশনের প্রভাবশালীদের পক্ষ থেকে হুমকি আসছে বিধায় তিনি এটি প্রত্যাহার চান।

এ সময় সংশ্লিষ্ট আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতকে অবহিত করে বলেন, এ সংক্রান্ত আরও ৪০ থেকে ৫০টি আবেদন বিভিন্ন কোর্টে পেন্ডিং আছে। একটি আবেদন প্রত্যাহার করলে কী আর হবে। এ সময় আদালত হুমকি দেয়া রিটকারীর কাছে ক্ষমা চাইতে সিটি কর্পোরেশনের আইনজীবীকে মৌখিক নির্দেশ দেন এবং মামলা চালিয়ে নেয়ার পক্ষে মত দেন।

বাড়ির মালিকদের হোল্ডিং ট্যাক্স প্রদান করতে রাজধানীর উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে দেয়া নোটিশের কার্যকারিতা কেন স্থগিত করা হবে না- তা জানতে চেয়ে গত ২৯ জানুয়ারি রুল জারি করেন বিচারপতি তারিকুল হাকিম ও বিচারপতি এম ফারুকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।

পরে হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করে সিটি কর্পোরেশন। কিন্তু আপিল বিভাগ ওই আবেদনের শুনানি করে ছয় সপ্তাহের মধ্যে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে সংশ্লিষ্ট হাইকোর্ট বেঞ্চকে নির্দেশ দেন।

রিটকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার মুকতাদির রহমান আরও জানান, রাজধানীর বাড়ির মালিকদের হোল্ডিং ট্যাক্স নিয়ে সিটি কর্পোরেশনের দেয়া নোটিসের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ২২ জানুয়ারি রিট দায়ের করেন ঢাকার বাসিন্দা সাইফ আলম। পরে ওই রিটের শুনানি নিয়ে ২৯ জানুয়ারি রুল জারি করেন আদালত।

তিনি আরও জানান, মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (ট্রাক্সসেশন) রুলস- ১৯৮৬, আইনটি ২০০৯ সালে বাতিল করে নতুন আইন করা হয়। এরপর এ সংক্রান্ত নতুন যে আইন অর্থাৎ স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন ২০০৯ করা হয়, সেখানে কোথাও ট্যাক্স আদায়ে কোনো বিধান রাখা হয়নি। কিন্তু ডিসিসি থেকে নাগরিকদের ১৯৮৬ সালের পুরনো আইন অনুযায়ী নোটিস দেয়া হচ্ছে। যার কোনো আইনি ভিত্তি নেই। এ কারণে হাইকোর্ট ওই নোটিসের কার্যকারিতা স্থগিত করেন।

এফএইচ/এমএআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।