মওদুদের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলার সিদ্ধান্ত রায় প্রকাশের পর
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের গুলশানের বাড়ি প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, ‘ব্যারিস্টার মওদুদের বিরুদ্ধে বাড়ি নিয়ে প্রতারণার মামলা করা হবে কী না এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে রিভিউয়ের রায় প্রকাশের পর। বৃহস্পতিবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।’
তিনি বলেন, ‘মূল মালিককে বিবাদী না করার কারণে নিম্ন আদালত থেকে মামলাটি বাতিল করা হয়েছিল। ওই আদেশের বিরুদ্ধে মওদুদ সাহেব হাইকোর্টে আসলেন। হাইকোর্টও বলেছিলেন মূল মালিককে বিবাদী না করে মৃত ব্যক্তিকে বিবাদী করা হয়েছে। সুতরাং এ মামলা চলতে পারে না। তারপর তিনি আপিলে গেলেন। আপিল বিভাগও একই গ্রাউন্ডে আদেশ দিলেন।’
রাষ্ট্রের এ প্রধান আইন কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘যেহেতু কোনো ওয়ারিশ নেই তাই রাষ্ট্র এ বাড়ির মালিক। তিনি যেহেতু বাড়ির মালিক মারা যাওয়ার ৫ মাস পর জালিয়াতি করে একটি চুক্তি করেছেন। সেহেতু রায় প্রকাশের পরই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে তার বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করা হবে কী না।’
উল্লেখ্য, অবৈধভাবে বসবাস করে আসা বাড়ি নিয়ে দায়ের করা মামলায় আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন গত ৪ জুন খারিজ করে দেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ। গত বছরের আগস্টে গুলশান-২ নম্বরের বাড়িটি ব্যরিস্টার মওদুদের ভাই মনজুর আহমদের নামে মিউটেশন (নামজারি) ও ডিক্রি জারি করতে হাইকোর্টের দেয়া রায় আপিল বিভাগে বাতিল হয়।
সর্বোচ্চ আদালতের এই রায়ের ফলে রাজউক বাড়িটি নিজেদের তত্ত্বাবধানে নেয়। গতকাল (বুধবার) রাজউকের উচ্ছেদ অভিযান চলাকালীন ওই বাড়ি থেকে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন ব্যারিস্টার মওদুদ। বাড়ি উচ্ছেদকে বেআইনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটা প্রতিহিংসার চরম দৃষ্টান্ত। নিশ্চয়ই আমি আইনের আশ্রয় নেব। মূল কথা হলো আমি রাজনীতি করি। বর্তমানে বিরোধী দলে আছি বলে এই অবস্থা। বিরোধী দলে না থাকলে এমন হতো না। ৩৬ বছর ধরে আমি এই বাড়িতে আছি। আমি এখন নিরূপায়।’
এফএইচ/এসএইচএস/আরআইপি