বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকের শূন্য পদের তালিকা চায় হাইকোর্ট


প্রকাশিত: ০১:৪৬ পিএম, ২৮ মে ২০১৭

প্রথম থেকে ১২তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সনদধারীদের মেধাতালিকা প্রস্তুত করে তা প্রকাশের জন্য বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষকে (এনটিআরসিএ) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আগামী ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে মেধা তালিকা প্রকাশ করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের শূন্য পদের তালিকা চাওয়া হয়েছে।

এছাড়া নিবন্ধন সনদের মেয়াদ তিন বছর নির্ধারণ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং নিবন্ধন সনদধারীদের কেন নিয়োগ দেয়া হবে না, জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন আদালত।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা সচিব, এনটিআরসি চেয়ারম্যানসহ ছয়জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. হুমায়ন কবিব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল টাইটাস হিল্লোল রেমা।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (২৫ মে) নিবন্ধন সনদধারী সিরাজগঞ্জের লিখন কুমার সরকারসহ বিভিন্ন জেলার ১৪৯ জন সনদের মেয়াদ তিন বছর নির্ধারণের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত এই আদেশ দেন।

আইনজীবী মো. হুমায়ন কবির বলেন, ২০০৬ সালের বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা গ্রহণ ও প্রত্যায়ন বিধিমালায় নিবন্ধনের কোনো সময়সীমা ছিল না। পরবর্তীতে ২০১৫ সালে সংশোধিত বিধিমালায় নিবন্ধন সনদের মেয়াদ তিন বছর নির্ধারণ করা হয়। তার মানে হলো সনদপ্রাপ্ত হওয়ার পর যদি কেউ তিন বছরের মধ্যে নিয়োগ না পান তবে সে সনদ বাতিল হয়ে যাবে। কিন্তু একজন পরীক্ষা দিয়ে সনদপ্রাপ্ত হয় তো সারা জীবনের জন্য। ফলে এ বিধানটি অযৌক্তিক।

তিনি বলেন, তাছাড়া কোন মূল্যায়নের ভিত্তিতে নিবন্ধিতদের মধ্য থেকে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয় সে বিষয়টিও আমাদের জানা নেই। তাই আদালতে এখন পর্যন্ত যত পরীক্ষা হয়েছে এবং এসব পরীক্ষায় যতজন উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাদের একটি মেধাতালিকা প্রস্তুত ও প্রকাশ করতে বলেছেন আদালত।

এফএইচ/বিএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।