এখন আমার পাশে কেউ নেই : নাঈম আশরাফ


প্রকাশিত: ০৩:৩২ পিএম, ২৫ মে ২০১৭

‘এক সময় আমার পাশে অনেকেই ছিল। এখন আমার পাশে কেউ নেই। এখন আমার কী হবে?’ কথাগুলো বলছিলেন রাজধানীর বনানীতে ‘দ্য রেইন ট্রি’হোটেলে দুই তরুণীকে ধর্ষণ মামলার অন্যতম আসামি নাঈম আশরাফ। কথাগুলো বলার সময় তিনি কাঁদছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য ধর্ষক নাঈম আশরাফকে বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার মুখ্য মহানগর (সিএমএম) আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তিনি কাঁদতে কাঁদতে এসব কথা বলেন। ধর্ষণের কথা স্বীকার করে নাঈম জানান, জন্মদিনের কেক সরবরাহ করেছিলেন রেইন ট্রির মালিকের ছেলে।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালতে বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন নাঈম আশরাফ।

এদিন সাতদিনের রিমান্ড শেষে বেলা ১১টায় তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের পুলিশ পরিদর্শক ইসমত আরা এমি। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। তিনি আদালতে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।

এর আগে গত ১৭ মে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং থেকে নাঈম আশরাফকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তাকে সাতদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।

এছাড়া গত ১১ মে সিলেট থেকে এ মামলার প্রধান আসামি সাফাত আহমেদসহ দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। এর চারদিন পর ১৫ মে রাজধানীর নবাবপুর ও গুলশান-১ থেকে গ্রেফতার হন মামলার অপর দুই আসামি সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও দেহরক্ষী আজাদ (রহমত)।

উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ বন্ধুর সঙ্গে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়ে বনানীর ‘দ্য রেইন ট্রি’হোটেলে ধর্ষণের শিকার হন দুই বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণী। ওই ঘটনার প্রায় ৪০ দিন পর গত ৬ মে বনানী থানায় অভিযুক্ত সাফাত আহমেদ, নাঈম আশরাফ ও সাদমান সাকিফসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন তারা।

নাঈম আশরাফ নিজেকে আওয়ামী লীগ নেতার ছেলের বন্ধু বলে পরিচয় দিয়ে থাকেন। তার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। তার আসল নাম মো. আব্দুল হালিম।

জেএ/জেডএ/ওআর/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।