ষোড়শ সংশোধনী : ‘ঝুলন্ত পার্লামেন্টে’ কী হবে
সংসদে যদি কোনো দলের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকে তবে কোনো বিচারকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠলে ষোড়শ সংশোধনী অনুসারে তাকে কিভাবে অপসারণ করা হবে -তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আপিল বিভাগ।
আদালত বলেছেন, এখন না হয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা (সংসদে) আছে। কিন্তু কোনো সময় যদি না থাকে। যদি ঝুলন্ত পার্লামেন্ট হয়। তাহলে কী হবে? কিভাবে বিচারপতিদের অপসারণ করা হবে? তখন তো একটা ভ্যাকুয়াম (শূন্যতা) সৃষ্টি হবে।
বৃহস্পতিবার ষোড়শ সংশোধনী শুনানিতে অ্যামিকাস কিউরি ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদের মতামত উপস্থাপনের সময় এমন প্রশ্ন তোলেন আদালত।
জবাবে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদ বলেন, আমার লিখিত সাবমিশনে এটা আছে। আমি নিজেও এ প্রশ্ন রাখছি।
শুনানিতে অ্যামিকাস কিউরি হিসাবে মতামত উপস্থাপনের সময় সাবেক বিচারপতি এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী টি এইচ খান বলেন, ষোড়শ সংশোধনী সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
আপিল বিভাগকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, অনেকে অনেক কথা বলবেন, কিন্তু আপনাদের উচিত জুডিশিয়ারি রক্ষা করা। সংবিধানের ১৩তম সংশোধনীর সমাধান না করে সরকার চলে গেছে ১৬তম সংশোধনীতে।
টি এইচ খান এর ছেলে আফজাল এইচ খান সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
উল্লেখ্য, বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সংসদের কাছে ফিরিয়ে নিতে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী পাস হয়। ২২ সেপ্টেম্বর তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়। এই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে একই বছরের ৫ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের ৯ জন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন।
রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত বছরের ৫ মে হাইকোর্টের তিন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলের ওপর ৮ মে মাসে শুনানি শুরু হয়।
এফএইচ/আরএস/পিআর