কয়লা খনি দুর্নীতি : খালেদার আপিলের বিষয়ে আদেশ রোববার


প্রকাশিত: ০৫:৩৪ এএম, ২২ মে ২০১৭
ফাইল ছবি

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলা বাতিলে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে খালেদার করা আপিলের বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ২৮ মে দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে সোমবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহা নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ আদেশের জন্য এই দিন ধার্য করেছেন।

আদালতে আজ খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান। অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজাও শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে ২০১৬ সালের ২৬ জুন খালেদা জিয়ার পক্ষে আপিল আবেদন দায়ের করেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন। আজ ওই আবেদনের শুনানি শেষে আদেশের জন্য এই দিন ঠিক করেন আদালত।

এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান জাগো নিউজকে জানান, দুদকের দায়ের করা মামলা বাতিল চেয়ে খালেদা জিয়ার আবেদন খরিজ করেছিলেন হাইকোর্ট। সেই রায় স্থগিত চেয়ে খালেদার আইনজীবীর করা আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছে সুপ্রিমকোর্টে, এখন আদেশের জন্য আগামী ২৮ মে দিন ঠিক করা হয়েছে।

অন্যদিকে ব্যারিস্টার বদরোদ্দোজা বাদল সাংবাদিকদের জানান, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলা বাতিল চেয়ে খালেদা জিয়ার করা আবেদন হাইকোর্টে নাকচ হয়েছিল, তার বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিলের শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এ জে মো. আলী এবং দুদকের আইনজীবী। শুনানি শেষে আদেশের জন্য ২৮ মে দিন ঠিক করেছেন আদালত।

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলা বাতিল চেয়ে খালেদা জিয়ার করা আবেদন খারিজ করে ২০১৬ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি মোহাম্মদ নুরুজ্জামান ও বিচারপতি আবদুর রবের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রায় দেন। তার পর গত ২৫ মে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ ওই রায় প্রকাশ করে।

বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলার বিচারকাজ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯-এর বিচারক আমিনুল ইসলামের আদালতে চলছে।

জানা যায়, বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এবং তার মন্ত্রিসভার ১০ সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলা দায়ের করা হয়। চীনা প্রতিষ্ঠান কনসোর্টিয়াম অব চায়না ন্যাশনাল মেশিনারিজ ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের (সিএমসি) সঙ্গে বড় পুকুরিয়া কয়লা খনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতির অভিযোগ আনা হয় এ মামলায়। ওই বছরের ৫ অক্টোবর ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে দুদক।

মামলায় খালেদা জিয়া ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান (মৃত), সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী আবদুল মান্নান ভূঁইয়া (মৃত), সাবেক শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী (মৃত), সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী আলী আহসান মো. মুজাহিদ (মৃত), ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, এম কে আনোয়ার, এম শামসুল ইসলাম (মৃত), আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার আমিনুল হক, এ কে এম মোশাররফ হোসেন, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্তসচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান এস আর ওসমানী, সাবেক পরিচালক মঈনুল আহসান, বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম ও খনির কাজ পাওয়া কোম্পানির স্থানীয় এজেন্ট হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন।

এফএইচ/এনএফ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।