মানবতাবিরোধী অপরাধ : বিএনপির সাবেক এমপির বিরুদ্ধে পরোয়ানা


প্রকাশিত: ০৭:৩৪ এএম, ১৮ মে ২০১৭

একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বগুড়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ও বিএনপি নেতা আব্দুল মোমিন তালুকদারের (৬৫) বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনালের সদস্য বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে দুই সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর মো. মোখলেসুর রহমান বাদল ও আবুল কালাম।

এর আগে আদালতে মোমিন তালুকদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ আবেদন করেন। পরে তিনি নিজেই বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।

সুলতান মাহমুদ জানান, আসামির বিরুদ্ধে একাত্তরে হত্যা ও গণহত্যার প্রাথমিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। মামলাটির তদন্ত করছেন ট্রাইব্যুনালের তদন্ত কর্মকর্তা জেএম আলতাফুর রহমান।

২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে মামলার তদন্ত শুরু হয়ে এখনও চলছে। আদমদীঘির সুদিন, খাড়িপাড় শ্মশানঘাটি ও সান্তাহার রথবাড়ী (জমিদার সুরেন্দ্রনাথের বাড়ি) বধ্যভূমি সংলগ্ন এলাকা ঘুরে দেখেন এবং স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও ক্ষতিগ্রস্তদের বক্তব্য রেকর্ড করেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।

তদন্তে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পরই সাবেক এই সংসদ সদস্যকে গ্রেফতারের জন্য আবেদন করে প্রসিকিউশন টিম।

প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ বলেন, আব্দুল মোমিন তালুকদার একাত্তরে আদমদীঘি এলাকার রাজাকার কমান্ডার ছিলেন। তার বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যার মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।

‘বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মোমিন তালুকদার খোকা এলাকায় প্রভাবশালী এবং তদন্তে যাতে কোনো প্রভাব বিস্তার না করতে পারে তাই গ্রেফতারের আবেদন করা হয়েছে।’

বগুড়া-৩ অর্থাৎ আদমদীঘি-দুপচাঁচিয়া আসন থেকে দুইবার এমপি হয়েছিলেন আব্দুল মোমিন তালুকদার। নবম সংসদে নির্বাচিত হওয়ার পর বন ও পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতিও হন তিনি।

২০১১ সালের মার্চে বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজেস্ট্রেট আদালতে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মোমিন তালুকদারের বিরুদ্ধে মামলা করেন আদমদীঘির কায়েত পাড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ সুবেদ আলী। পরে ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয় মামলাটি।

অভিযোগে রয়েছে, আব্দুল মোমিনের বাবা মরহুম আব্দুল মজিদ তালুকদার স্থানীয় শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। বাবা-ছেলে দু’জনেই সেসময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করেন।

 

এফএইচ/এসআর/এমএমএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।