উচ্চ মাধ্যমিকের ভর্তি নীতিমালা চ্যালেঞ্জ করে হাইকার্টে রিট


প্রকাশিত: ০২:৫৭ পিএম, ১১ মে ২০১৭

উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি কলেজে জারি করা নীতিমালার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এক রিট দায়ের করা হয়েছে। যদিও ইতিমধ্যে কলেজের ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট দায়ের করেন। রিটে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়েছে।

আবেদনে ভর্তি নীতিমালা-২০১৭ স্থগিত চাওয়ার পাশাপাশি জারিকৃত নীতিমালা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে। রুল শুনানি শেষ হওয়া পর্যন্ত জারি করা নীতিমালার কার্যকারিতা স্থগিত চাওয়া হয়েছে। এছাড়া শুধুমাত্র ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভর্তি প্রক্রিয়া কলেজ কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণে দেয়ার এই নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ জানান, এই রিট আবেদনের উপর আগামী রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি একেএম জহিরুল হক ও বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানি হতে পারে।

আবেদনের বিষয়ে তিনি বলেন, ১৯৬১ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধ্যাদেশ দ্বারাই পরিচালিত হচ্ছে শিক্ষা ব্যবস্থা। প্রায় ৪৬ বছর পরও এ নিয়ে আর কোনেি আইন হয়নি। ওই অধ্যাদেশের কোথাও নেই যে, শিক্ষা বোর্ড ভর্তি প্রক্রিয়া জিপিএর মাধ্যমে সিরিয়াল করে দেবে। শত বছর পূর্ব থেকেই নিয়ম রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করবে।

তিনি আরও বলেন, ১৯৬১ সালের অধ্যাদেশে ২, ৩, ১৮ ও ৩৯ ধারায় বোর্ডের কাজ কি হবে তা নির্ধারণ করা আছে। বোর্ডের ভর্তি ও পরিচালনা সংক্রান্ত বিষয় নির্ধারণ করা। কিন্তু সরকার সার্কুলারে সেই ক্ষমতা বোর্ডকে দেয়নি। ওই অধ্যাদেশের সঙ্গে মিল রেখে ২০০৯ সালে রেগুলেশন করে এবং সেখানে ৪২ ধারায় কলেজের ভর্তি প্রক্রিয়া অধ্যক্ষের হাতে ন্যস্ত আছে। সেই অনুযায়ী সরকারি সার্কুলার এই রেগুলেশনের সঙ্গেও সাংঘর্ষিক।

এসব কারণ দেখিয়ে রিট আবেদনটি দায়ের করা হয়েছে। আবেদনে আরও বলা হয়েছে- এই সার্কুলার জারির ফলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ভর্তি ক্ষেত্রে হয়রানির শিকার হচ্ছে এবং মেধাবীরা ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

গত ৯ মে দুপুর ২টা থেকে ভর্তি আবেদন গ্রহণ শুরু হয়। এর আগে দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন। অনলাইন ও মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে ভর্তির আবেদন করা যাবে ২৬ মে পর্যন্ত। অনলাইনে আবেদনের ঠিকানা www.xiclassadmission.gov.bd

নীতিমালায় বলা হয়েছে, অনলাইনে ১৫০ টাকা আবেদন ফি জমা দিয়ে সর্বনিম্ন পাঁচটি ও সর্বোচ্চ ১০টি কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানের জন্য পছন্দক্রমের ভিত্তিতে আবেদন করা যাবে। এসএমএসের মাধ্যমে আবেদনের ক্ষেত্রে প্রতি কলেজের জন্য ১২০ টাকা ফি দিতে হবে। এ ক্ষেত্রেও সর্বোচ্চ ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে পছন্দক্রমে রাখতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। অনলাইন ও এসএমএসের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে আবেদন করা যাবে।

এফএইচ/জেএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।