বিচারপতি অপসারণ সংক্রান্ত আপিল শুনানি সোমবার
বিচারপতি অপসারণ সংক্রান্ত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষে করা আপিল শুনানি সোমবার।
সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে সোমবারের আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় (কজলিস্টে) এই মামলা শুনানির জন্য রয়েছে।
সোমবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ছয় সদস্যের বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এই আপিলের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে এ সংক্রান্ত মামলা শুনানির জন্য আজকের দিন ঠিক করেন আদালত। তারই ধারাবাহিকতাই আজ শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। আদালতে ওই দিন রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। অপরদিকে রিটকারীর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
বিচারপতি অপসারণ সংক্রান্ত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলের শুনানিতে ১২ জন অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের বন্ধু) নিয়োগ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
যৌক্তিক ব্যাখ্যা শোনার জন্য অ্যামিকাস কিউরি হলেন- সাবেক বিচারপতি টি এইচ খান, ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, এ এফ হাসান আরিফ, এম আই ফরুকী, ব্যারিস্টার ফিদা এম কামাল, এ জে মোহাম্মদ আলী ও আবদুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া।
এর আগে গত ৪ জানুয়ারি হাইকোটের্র ওই রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল আবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষ। পরদিন সকালে বিষয়টি শুনানির জন্য আসলে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম চার সপ্তাহের সময় চেয়ে আবেদন করেন। তিনি বলেন, ‘এটা অনেক বড় রায়, রায়ের বিষয়ে প্রস্তুতি গ্রহণ করার জন্য সময় প্রয়োজন। এরপরই আদালত শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করেন।’
এর আগে গত বছরের ২৮ নভেম্বর জাতীয় সংসদ কর্তৃক বিচারপতিদের অপসারণ সংক্রান্ত সংবিধানের ১৬তম সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায় চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করার জন্য আপিল বিভাগে আবেদন করেন রিটকারী আইনজীবী।
২০১৬ সালের ৫ মে সংবিধানের ১৬তম সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে দুই বিচারপতি ১৬তম সংশোধণী অবৈধ ঘোষণা করলেও এক বিচারপতি ওই সংশোধনী বহাল রেখে রিট আবেদন খারিজ করেন। কিন্তু নিয়মানুযায়ী সংখ্যাগরিষ্ঠের মতের ভিত্তিতে যে রায় দেয়া হয় সেটাই চূড়ান্ত রায়।
এফএইচ/এসআর