হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তথ্য দিয়েছেন শাহাবুদ্দীন ও সুমি
ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন রিমান্ডে থাকা কবি শাহাবুদ্দীন নাগরী এবং নিহতের স্ত্রী নুরানী আক্তার সুমি।এমনটাই জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী অফিসার।
রোববার নাগরী ও নিহতের স্ত্রী সুমিকে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে দুপুর ৩টায় আদালতে হাজির করে অধিক তদন্তের জন্য আরও দশদিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্তকারী অফিসার নিউমার্কেট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মতলুবুর রহমান। আবেদনে তিনি উল্লেখ্য করেন পাঁচ দিনের রিমান্ডে তারা দুজনই অনেক তথ্য দিয়েছেন। মামলার মূল রহস্য উদঘাটনে তাদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন।
এরপর দুপুর সাড়ে ৩টায় ঢাকা মহানগর হাকিম শেখ ছামিদুল ইসলামের আদালতে রিমান্ড শুনানি হয়। এসময় আইনজীবী কাজী নজিবুল্লাহ হিরু নাগরীর রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। তিনি শুনানিতে বলেন, যেহেতু রিমান্ডে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন নাগরী তাহলে তাকে রিমান্ডে নেয়ার কোন যুক্তি নেই।
অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী পুলিশ কমিশনার মিরাজ উদ্দিন বলেন, হত্যার বিষয় পুলিশের কাছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে কিছুই বলা যাবে না। তাদের পুনরায় রিমান্ডে নিলে আরও তথ্য পাওয়া যাবে।
এদিন সুমির পক্ষে কোন আইনজীবী ছিলো না আদালতে। সুমিকে বিচারক জিজ্ঞাসা করেন আপনার কিছু বলার আছে কিনা। উত্তরে তিনি কিছুই বলেননি।উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক প্রত্যেকে চার দিনের রিমান্ডে মঞ্জুর করেন।
অপরদিকে মামলার আসামি গাড়িচালক সেলিমকে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন তদন্তকারী অফিসার। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
এর আগে ১৭ এপ্রিল তিন আসামিকে ঢাকা সিএমএম (মুখ্য মহানগর হাকিম) আদালতে হাজির করে দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা নিউমার্কেট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মতলুবুর রহমান। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম ওয়ায়েজ কুরুনী খান চৌধুরী প্রত্যেকের বিরুদ্ধে পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, ১৩ এপ্রিল রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের ১৭০/১৭১ ডোম-ইনো অ্যাপার্টমেন্টে নিজ বাসার বেড রুম থেকে ব্যবসায়ী নুরুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ১৪ এপ্রিল নুরুল ইসলামের বোন শাহানা রহমান কাজল বাদী হয়ে ভিকটিমের স্ত্রী, স্ত্রীর বন্ধু মো. শাহাবুদ্দিন নাগরীসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে নিউমার্কেট থানায় হত্যা মামলা করেন।
জেএ/এএইচ/আরআইপি