কিশোরগঞ্জের দুই রাজাকারের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ


প্রকাশিত: ০২:৫৫ এএম, ১৯ এপ্রিল ২০১৭

একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কিশোরগঞ্জের সৈয়দ মো. হুসাইন ও মোহাম্মদ মোসলেম প্রধানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রায় ঘোষণা করা হবে আজ।

রাষ্ট্র ও আসামি উভয়পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে অাজ বুধবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এই রায় ঘোষণা করা হবে।

দুই রাজাকারের বিরুদ্ধে ছয় অভিযোগ

প্রথম অভিযোগ
দামপাড়া গ্রাম ও নিকলী থানা ভবন, সদরের মহাশশ্মান এলাকায় ৭১ সালের আগস্টের মাঝামাঝি সময় থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছয় নারীকে ধর্ষণ, সুধীর সুত্রধরসহ ৩৫ জনকে হত্যা ও বাদল বর্মনসহ চারজনকে নির্যাতন করার অভিযোগ রয়েছে হোসাইনের বিরুদ্ধে।

দ্বিতীয় অভিযোগ
নিকলী বাজার ও থানা কম্পাউন্ড এলাকায় হোসাইন ও মোসলেমের নেতৃত্বে একাত্তরের ২ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত কাশেম আলীসহ চারজনকে আটক ও নির্যাতন।

তৃতীয় অভিযোগ
নিকলীর গুরুই গ্রামের পূর্বপাড়ায় ১৯৭১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৭টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ফুল মিয়াসহ ২৬ জনকে হত্যা এবং ২৫০টি বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ।

চতুর্থ অভিযোগ
নিকলীর নানশ্রী গ্রামে একাত্তর সালের ২১ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তোফাজ্জল খান জিতুসহ সাতজনকে অপহরণ ও নির্যাতনের অভিযোগ হোসাইনের বিরুদ্ধে।

পঞ্চম অভিযোগ
একাত্তর সালের ১০ অক্টোবর নিকলী সদরের পূর্বগ্রামে মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আব্দুল মালেককে তার নিজ বাড়ি থেকে অপহরণ করে হত্যার অভিযোগ হোসাইন ও মোসলেম প্রধানের বিরুদ্ধে।

ষষ্ঠ অভিযোগ
১৯৭১ সালের ২৬ নভেম্বর সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা খায়রুল জাহান ও মো. সেলিমকে হত্যা করে তাদের মৃতদেহ রিকশা দিয়ে কিশোরগঞ্জ সদর, প্যারাভাঙা ও শোলাকিয়ায় ঘুরিয়েছিলেন এবং মুক্তিযোদ্ধা খায়রুল জাহানের মাকে ছেলের রক্ত দেখিয়ে বীভৎসতা প্রদর্শন করেছিলেন তারা।

এফএইচ/জেডএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।