অঝোরে কাঁদলেন রিশার বাবা-মা


প্রকাশিত: ০২:০৬ পিএম, ১৭ এপ্রিল ২০১৭

একমাত্র মেয়ে সুরাইয়া আক্তার রিশাকে হারিয়ে কষ্টে জীবনযাপন করছেন বাবা রমজান হোসেন ও মা তানিয়া হোসেন। সন্তান হারানোর শোকে তারা এখন কাতর। কারণ তাদের একমাত্র সম্বল ছিল মেয়ে রিশা। মেয়ে হত্যার বিচারের আশায় এখন দিন পার করছেন তারা।

সোমবার মেয়ে হত্যার বিচার দেখতে আদালতে আসেন রিশার মা-বাবা। এ সময় তারা অঝোরে কাঁদতে থাকেন। তাদের একটাই চাওয়া, রিশার হত্যাকারী ওবায়দুলের যেন ফাঁসি হয়।

ঢাকা মহানগর অষ্টম অতিরিক্ত দায়রা জজ আবুল কাশেমের আদালতে সোমবার রিশা হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল। ঘাতক ওবায়দুলকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় রিশার মা-বাবা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

বিচারক ওবায়দুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। দোষী না নির্দোষ জিজ্ঞাসা করা হলে সে নিজকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার পাওয়ার প্রত্যাশা করেন।

রিশার মা-বাবা এ সময় অঝোরে কাঁদতে কাঁদতে জাগো নিউজকে বলেন, আমরা ওবায়দুলের ফাঁসি চাই। আক্ষেপ করে তারা আরও বলেন, রিশা হত্যার অনেক পরে সিলেটের খাদিজা হত্যাচেষ্টা মামলা হয়েছে। কিন্তু আমাদের মেয়ে হত্যার বিচার কেবল শুরু হয়েছে। কবে শেষ হবে একমাত্র আল্লাহ জানেন!

গত বছরের ২৪ আগস্ট রাজধানীর কাকরাইল ওভারব্রিজের ওপর উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সুরাইয়া আক্তার রিশাকে (১৪) ছুরিকাঘাত করে ওবায়দুল। ২৮ আগস্ট চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে। এর আগে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় ২৪ আগস্ট রিশার মা তানিয়া হোসেন বাদী হয়ে রমনা থানায় একটি মামলা করেন।

শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে গত ৩১ আগস্ট ভোরে নীলফামারী থেকে ওবায়দুলকে গ্রেফতার করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ১ সেপ্টেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালত ওবায়দুলের ছয়দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে ৫ সেপ্টেম্বর ওবায়দুল রিশাকে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।

গত ১৪ নভেম্বর ওবায়দুলকে একমাত্র আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলা তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আলী হোসেন।

জেএ/জেএইচ/এমএআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।