আটকে গেল এমপি রানার জামিন


প্রকাশিত: ১১:৫৪ এএম, ১৬ এপ্রিল ২০১৭

মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল-৪ (ঘাটাইল) আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাকে দেয়া অন্তর্বর্তীকালীন জামিন ১৮ এপ্রিল (মঙ্গলবার) পর্যন্ত স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি।

এ সংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানি করে রোববার আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী রানার জামিন স্থগিত করে এ আদেশ দেন।

জামিন স্থগিত বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের ওপর ওইদিনই (১৮ এপ্রিল) শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাসুদ হাসান চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘চেম্বার আদালত সংসদ সদস্য রানার জামিন তিনদিনের জন্য স্থগিত করেছেন। তবে ১৮ এপ্রিল মঙ্গলবার অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতির আদালতে জামিন স্থগিত চেয়ে করা আবেদনের ওপর ফের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।’

এদিকে এমপি রানার আইনজীবী রুশো মোস্তফা বলেন, ‘যেহেতু অবকাশ শুরু হয়েছে তাই রোববার চেম্বার আদালত ছিল না। আমরা শুনেছি অ্যাটর্নি জেনারেল বিচারপতির বাসায় গিয়ে জামিন স্থগিতের আদেশ নিয়ে এসেছেন। তবে এ বিষয়ে আমরা এখনও নিশ্চিত নই। আদেশের কপি পাওয়ার পর বিষয়টি সম্পর্কে বলতে পারব।’

এর আগে গত ১৩ এপ্রিল এমপি রানাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে রানাকে কেন স্থায়ী জামিন দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে সরকারের প্রতি রুলও জারি করা হয়।

আদালতে এমপি রানার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী রুশো মোস্তফা।

আর রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান কবির। আদালতের আদেশের পর রানার আইনজীবী রুশো মোস্তফা জানিয়েছিলেন, এই মামলায় জামিন পাওয়ায় এমপি রানার মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই।

আওয়ামী লীগের টাঙ্গাইল জেলা কমিটির সদস্য মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদকে ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি গুলি করে হত্যা করা হয়। ঘটনার তিনদিন পর ফারুকের স্ত্রী নাহার আহমেদ টাঙ্গাইল মডেল থানায় অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন।

পরে সংসদ সদস্য রানা, তার তিন ভাই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পা, টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সহিদুর রহমান খান মুক্তি এবং ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাঁকনসহ মোট ১৪ জনকে আসামি করে ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।

এ মামলায় রানা ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়। এরপর একই বছর ২৬ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবুল মনসুর মিয়া রানার জামিন নাকচ করে দিলে তিনি হাইকোর্টে আসেন। বর্তমানে কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন এমপি রানা।

এদিকে ফারুক হত্যা মামলার আসামি এমপি রানা ও তার তিন ভাইকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ।

এফএইচ/এমএমএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।