ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে সমন


প্রকাশিত: ০১:০০ পিএম, ১২ এপ্রিল ২০১৭
ফাইল ছবি

প্রায় ৭ কোটি টাকা পাওনা আদায়ের মামলায় গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন আদালত। বুধবার ঢাকার দ্বিতীয় যুগ্ম জেলা জজ মো. শাহাদাত হোসেন এ সমন জারি করেন। আদালত আগামী ২৩ মে সমনের জবাব দাখিলের জন্য দিন ধার্য করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন জিরাবোতে গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্ট ১৬২ বিঘা জায়গার ওপর ‘ঘোষবাগ’ প্রকল্পে আংশিক জায়গায় বালু ভরাটের জন্য বাদীর প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিবাদীদের ৫০ লাখ সিএফটি বালু ভরাটের চুক্তি হয়। বাদীর প্রতিষ্ঠান চুক্তি অনুযায়ী চার কিলোমিটারজুড়ে পাইপ স্থাপন করে ২০১৫ সালের  জুন থেকে নভেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত প্রায় প্রায় ৫ কোটি টাকার বালু ভরাট করেন।

ওই টাকার মধ্যে বিবাদীরা বাদীকে ১ কোটি ৭ লাখ ৫১ হাজার ৭৮৪ টাকা বিল প্রদান করেন। অবশিষ্ট ৪ কোটি ১৬ লাখ ২৯ হাজার ৪.২৬ টাকা পাওনা হলে বাদী তা দেয়ার জন্য চারটি বিল সাবমিট করলেও বিবাদীরা তা দেননি। টাকা না দেয়ায় বালু ভরাট বন্ধ করে দেন তিনি। বাদী তার পাওনা টাকা আদায়ের জন্য লিগ্যাল নোটিশ দিলেও বিবাদীরা তা দেননি। এতে বাদীর  ৪ কোটি ১৬ লাখ ২৯ হাজার ৪.২৬ টাকার সঙ্গে ২ কোটি ৬৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা ডেমারেজ ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।

এ ঘটনায় গত ৩০ মার্চ ঢাকার সাভারে মেসার্স তাজ এন্টারপ্রাইজের মালিক ব্যবসায়ী মো. বাহাদুর ইসলাম ইমতিয়াজ বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে এ মামলাটি করেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর, প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল হাসান, গ্রামীণ টেলিকমের সিএফও ও বোর্ড সেক্রেটারি, ডেপুটি ম্যানেজার মো. মাহমুদ, প্রতিষ্ঠানটির আইন সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের এজিএম ও বিভাগীয় প্রধান, প্রতিষ্ঠানটির টেকনিক্যাল বিভাগের সহকারী মহাব্যবস্থাপক, হিসাবরক্ষক কর্মকর্তা, অ্যাসিসটেন্ট ম্যানেজার মো. আসাদ, বিশ্বজিৎ কুমার, প্রকৌশলী সফিকুল ইসলাম এবং ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভে অ্যান্ড ডিজাইনের মতিয়ার রহমান।

জেএ/এসএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।