আনসারুল্লাহ শরিয়াহ বোর্ডের সদস্য মাকসুদুর রহমান রিমান্ডে
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে গ্রেফতার নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) শরিয়াহ বোর্ডের সদস্য মাকসুদুর রহমান ওরফে আবদুল্লাহর ছয়দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শনিবার তাকে ঢাকা সিএমএম আদালতে হাজির করে যাত্রাবাড়ী থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য দশদিনের রিমান্ড আবেদন করেন ডিবি পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মাজহারুল হক ছয়দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে, শুক্রবার দিবাগত রাতে মাকসুদুর রহমানকে গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের দক্ষিণ বিভাগের একটি দল। গ্রেফতারের পর তার বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা করা হয়।
শনিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, কলাবাগানে মানবাধিকারকর্মী জুলহাস মান্নান ও নাট্যকর্মী মাহবুব তনয়ের হত্যা মামলার তদন্তে মাকসুদুর রহমানের নাম উঠে আসে। আবদুল্লাহ তার সাংগঠনিক নাম।
২০১৪ সালে আবু নাঈমের মাধ্যমে তিনি এবিটিতে যোগ দেন। প্রতিটি জঙ্গি সংগঠনে কোরআন হাদিসের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য শরিয়াহ বা মুফতি বোর্ড রয়েছে। আবদুল্লাহ ওই শরিয়াহ বোর্ডের একজন সদস্য। শরিয়াহ বোর্ডের অনুমোদন ছাড়া আনসারুল্লাহ বাংলাটিম কোনো হত্যাকাণ্ড করেনি বলে জানান মনিরুল।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) জানায়, আবদুল্লাহ ২০০৭ সালে ফরিদাবাদ মাদরাসায় পড়ার সময় জিহাদ বিষয়ে আগ্রহী হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে একই মাদরাসার অপর এক শিক্ষকের সঙ্গে জিহাদ বিষয়ে আলোচনা ও আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের বিভিন্ন বইপত্র-ভিডিও আদানপ্রদান করতো। সে ২০১৫ সালের শুরুর দিকে উত্তরার দেওয়ানবাড়ী এলাকার একটি বাসায় দেড় মাসব্যাপী জিহাদ বিষয়ে সামরিক ও ধর্মীয় প্রশিক্ষণ নেয়। ওই বাসায় কম্পিউটার, ঈমান, তাওহিদ, কাফের হওয়ার কারণ, জিহাদের মাসালা, চাপাতি চালানো, আগ্নেয়াস্ত্র খোলা ও লাগানো, নিরাপদ টেক্সটের মাধ্যমে কিভাবে মেজেস পাঠানো এবং রিসিভ করার বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেয়।
জেএ/বিএ/আরআইপি