সাঈদীর রিভিউ কার্যতালিকায়


প্রকাশিত: ১১:২১ এএম, ০৫ এপ্রিল ২০১৭

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশ থেকে খালাস চেয়ে করা রিভিউ এবং দণ্ড বহাল রাখার জন্য রাষ্ট্রপক্ষের করা রিভিউ দুটি সুপ্রিম কোর্টের বৃহস্পতিবারের কার্যতালিকায় এসেছে।

বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বাধানী চার সদস্যের বেঞ্চে এ আবেদন দুটির শুনানি হতে পারে।

এর আগে গত সোমবার অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম জানান, ‘আমি ধারণা করছি আগামী বৃহস্পতিবার সাঈদীর রিভিউ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।’

ওইদিন মামলাটি সুপ্রিম কোর্টের কার্যতালিকার ১৪৭ নম্বরে ছিল বলেও জানিয়েছিলেন রাষ্ট্রের এ সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা।

ট্রাইব্যুনালের রায়ের পর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ের (পুনর্বিবেচনা) রিভিউ চেয়ে আবেদন করেছিলেন জামায়াত নেতা সাঈদী। অন্যদিকে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড চেয়ে রিভিউ আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

২০১৬ সালের ১২ জানুয়ারি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসি চেয়ে আবেদন করেছিল রাষ্ট্রপক্ষ। ওই বছরের ১৭ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় খালাস চেয়ে রিভিউ করেছিলেন সাঈদী।

২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশ দেন।

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। ট্রাইব্যুনালে সাঈদীর বিরুদ্ধে গঠিত ২০টি অভিযোগের মধ্যে আটটি প্রমাণিত হয়।

২০১১ সালের ৩ অক্টোবর সাঈদীর বিচার শুরু হয়েছিল। হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, নির্যাতন ও ধর্মান্তরে বাধ্য করার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি তার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

সাঈদীর বিচার শুরু হয়েছিল ২০১১ সালের ৩ অক্টোবর। হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, নির্যাতন ও ধর্মান্তরে বাধ্য করার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল।

এফএইচ/এসএইচএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।