বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধি : ১১ বারের মতো সময় পেল রাষ্ট্রপক্ষ
নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাবিধি গেজেট আকারে প্রকাশে সরকারকে আবারো সময় দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ৮ মে পর্যন্ত সময় দিয়েছেন আদালত। এ নিয়ে ১১তম বারের মতো সময় পেলো রাষ্ট্রপক্ষ।
মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে আজ শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আদালতে দুই সপ্তাহ সময় প্রার্থনা করেন। আবেদন শুনানি নিয়ে বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালা গেজেট প্রকাশে সরকারকে আরও দুই সপ্তাহ (৮ মে পর্যন্ত) সময় দিয়ে এদিন শুনানির পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন আদালত।
গত ১৪ মার্চ বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাবিধি গেজেট আকারে প্রকাশ করতে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দিয়েছিলেন আদালত। এর আগেও গেজেট প্রকাশে ১০ দফা সময় নেয় সরকার। আজ সর্বশেষ ১১তম বারের মতো সময় পেল রাষ্ট্রপক্ষ।
নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়ন না করায় আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিবকে ১২ ডিসেম্বর তলবও করেছিলেন আপিল বিভাগ।
গত বছরের ৭ নভেম্বর বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালা ২৪ নভেম্বরের মধ্যে গেজেট আকারে প্রণয়ন করতে সরকারকে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।
১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর মাসদার হোসেন মামলায় ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেয়া হয়। ওই রায়ের আলোকে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল ১২ দফার মধ্যে ইতোমধ্যে বেশ কয়েক দফা বাস্তবায়ন করেছে সরকার। এ জন্য বারবার আদেশ দিতে হয়েছে আপিল বিভাগকে।
এমনকি ২০০৪ সালে আদালত অবমাননার মামলাও করতে হয়েছে বাদীপক্ষকে। এরপর ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথক ঘোষণা করেন।
এ অবস্থায় ২০১৫ সালের ১৫ মার্চ আপিল বিভাগ চার সপ্তাহ সময় দেন সরকারকে। এরপর গত বছরের ৭ মে আইন মন্ত্রণালয় থেকে একটি খসড়া শৃঙ্খলাবিধি তৈরি করে সুপ্রিমকোর্টে পাঠায়। কিন্তু তা মাসদার হোসেন মামলার রায়ের আলোকে না হওয়ায় সুপ্রিমকোর্ট কর্তৃপক্ষ একটি কমিটি গঠন করে আলাদা একটি শৃঙ্খলাবিধি তৈরি করেন। গত ২ জানুয়ারি সোমবার এ বিষয়ে আপিল বিভাগে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
২০০৭ সালের ১০ জানুয়ারি আপিল বিভাগ বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ সংক্রান্ত চারটি বিধিমালা সাত দিনের মধ্যে গেজেট আকারে প্রকাশের নির্দেশ দেন। তবে এ সংক্রান্ত মামলাটি এখনও আপিল বিভাগে বিচারাধীন। ১২ দফা নির্দেশনার যেসব দফা এখনও বাস্তবায়ন হয়নি, সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য তাগিদ চলছে।
এফএইচ/এআরএস/এসআর/জেআইএম