ঘোষণা ছাড়া মুক্তিযোদ্ধার চাকরির মেয়াদ বাড়ানো কেন অবৈধ নয়


প্রকাশিত: ১০:০৯ এএম, ০২ এপ্রিল ২০১৭

মুক্তিযোদ্ধা ঘোষণা না দিয়ে সরকারি চাকরিতে যোগদানকারীদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে চাকরির মেয়াদ বাড়ানো কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী কোন ক্ষমতাবলে ওই পদে বহাল রয়েছেন তা জানতে চেয়েছেন আদালত।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান মোহাম্মদ হানজালাসহ পাঁচজনকে ওই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

জনস্বার্থে করা এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার তৌফিক ইনাম টিপু এবং তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার গালিব হমিদ ও তানজিব রশিদ খান।

এর আগে মুক্তিযোদ্ধা এসএ মালেক ও প্রজন্ম লীগ নেতা মো. খালিদ হোসেন জনস্বার্থে রিট করেন। আজ ওই রিটের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন।

উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ২০১৪ সালের ৫ আগস্ট এক নির্দেশায় ঘোষণা করে যে, যেসব সরকারি কর্মকর্তা চাকরিতে যোগদানের সময় নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ঘোষণা করেনি অথচ তাদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে- তাদের এ ধরনের সুযোগ-সুবিধা দ্রুত সময়ের মধ্যে বাতিল করা হবে।

ওই নির্দেশনা অনুসরণ করে সড়ক ও জনপথ বিভাগের ৪১ কর্মকর্তা-কর্মচারী নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ঘোষণা দেয়নি। তাদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর ২০১৪ সালের ২৪ আগস্ট বাতিল করা হয়। এর আগে ওই বছরের ৪ আগস্ট মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে চাকরিরত ব্যক্তির ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার চাকরির মেয়াদ বাড়ানো হয়।

এফএইচ/আরএস/জেএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।