৬ এপ্রিলের মধ্যে ট্যানারি সরলে জরিমানা মওকুফের বিবেচনা
রাজধানীর হাজারীবাগে থাকা ট্যানারিগুলোর সব কার্যক্রম আগামী ৬ এপ্রিলের মধ্যে বন্ধ করা হলে জরিমানা মওকুফ করার বিষয়ে বিবেচনা করবেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। আগামী ৯ এপ্রিল এ সংক্রান্ত পরবর্তী শুনানি গ্রহণ করবেন আদালত।
বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে তিন সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে আজ ট্যানারি মালিকদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস ও রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
আদালতে ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘আমাদের সবকিছু তো এমনি শেষ। আমরা ৬ এপ্রিলের মধ্যে সব ট্যানারি কারখানা ক্লোজ ডাউন করতে যাচ্ছি। আমাদের বকেয়া জরিমানার বিষয়টি বিবেচনা করেন।’
তখন আদালত বলেন, আগে ৬ এপ্রিল সব ক্লোজ ডাউন করে আসেন। তখন বকেয়া জরিমানার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
গত ২ মার্চ ১৫৪ ট্যানারির বকেয়া বাবদ ৩০ কোটি ৮৫ লাখ জরিমানা ২ সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ। পরে এই আদেশ স্থগিত চেয়ে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন ও ফিনিশড লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন আদালতে আবেদন করেন।
গত ১২ মার্চ হাজারীবাগে থাকা ট্যানারি কারখানা অবিলম্বে বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। এর আগে ৬ মার্চ রাজধানীর হাজারীবাগের সব ট্যানারি কারখানা অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে কারখানাগুলোর বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানি বিচ্ছিন্ন করাসহ সব সুযোগ-সুবিধা বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশ দেন আদালত।
এফএইচ/জেডএ/এনএফ/পিআর