তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা : প্রতিবেদনের আগে জামিন নয়


প্রকাশিত: ০১:০৭ পিএম, ২৩ মার্চ ২০১৭

তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে দায়ের করা মামলায় পুলিশি প্রতিবেদন দেয়ার আগে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল আসামির জামিন আবেদনের শুনানি গ্রহণ করতে পারবে না বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার এক জামিন আবেদন শুনানিতে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি এ এন এম বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

একইসঙ্গে পুলিশের প্রতিবেদন (চার্জশিট) দেয়ার আগেই এক আসামির জামিনের আবেদন শুনানি গ্রহণ করায় ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবং অন্যদিকে শুনানির ক্ষমতা থাকার পরও তা গ্রহণ না করায় মাগুরার জেলা ও দায়রা জজকে সতর্ক করে দিয়েছেন আদালত।

আদেশের কপি দেশের সব দায়রা জজ আদালত ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠাতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ের করা মামলার আসামি আহমেদ সবুজকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও অ্যাডভোকেট আমিমুল এহসান জোবায়ের এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জমান কবির।

গতকাল মঙ্গলবার (২২ মার্চ) তথ্যপ্রযুক্তি আইনের এক মামলায় আসামির জামিনের আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করা এবং না করার প্রশ্নে হাইকোর্টে লিখিত ব্যাখ্যা দাখিল করেন ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও মাগুরার জেলা ও দায়রা জজ। এর আগে গত ১৩ মার্চ আসামির জামিন আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করা না করার প্রশ্নে দুই বিচারকের কাছে ব্যাখ্যা চান হাইকোর্ট।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ফেসবুকে সরকারবিরোধী পোস্টকে কেন্দ্র করে ২০১৬ সালের ১০ সেপ্টেম্বর মাগুরা জেলার মোহাম্মপুর থানার আহমেদ সবুজ নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় মাগুরার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন আবেদন করলে আদালত তা না-মঞ্জুর করেন।

পরে মাগুরার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করেন আহমেদ সবুজ। কিন্তু দায়রা জজ আদালত একই বছরের ১৭ নভেম্বর এ মামলা শুনানিতে অস্বীকৃতি জানান। পরে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে জামিন আবেদন করলে ২০১৭ সালের ২৬ জানুয়ারি সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জামিন না-মঞ্জুর করে আদেশ দেন।

ওই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন আহমেদ সবুজের আইনজীবী। হাইকোর্ট আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে  উপরোক্ত আদেশ দেন।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান কবির বলেন, আইনুযায়ী যেকোনো মামলার বিচার আমলে নেয়ার আগ পর্যন্ত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের যেকোনো আদেশের বিরুদ্ধে দায়রা জজ আদালত শুনানি গ্রহণ করবেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট দায়রা জজ ওই জামিন আবেদন শুনানিতে মৌখিকভাবে অস্বীকৃতি জানান।

তিনি আরও বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি আইনের যেকোনো মামলা আমলে নেয়ার আগ পর্যন্ত সাইবার ট্রাইব্যুনাল শুনানি করতে পারেন না। কিন্তু এ মামলা আমলে নেয়ার আগেই সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শুনানি করেছেন। এ কারণেই দুই বিচারকের কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে আদেশ দেন হাইকোর্ট।

এফএইচ/আরএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।