ড. ইউনূসের অফিসে মামলার নোটিশ
বকেয়া পরিশোধ না করায় ক্ষুদ্রঋণের প্রবক্তা ও বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে গত সাতদিনে ১২টি মামলা করেন তার প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি গ্রামীণ টেলিকমের কর্মকর্তারা। মামলাসমূহের জবাব দাখিল ও তাকে হাজির হওয়ার জন্য নোটিশ জারি করেছেন আদালত। এ নোটিশগুলো আজ বুধবার (২২ মার্চ) তার অফিস গ্রামীণ টেলিকমে পাঠিয়ে দিয়েছেন আদালত। আদালতের পাঠানো নোটিশগুলো রিসিভও করেছে তার অফিস।
বুধবার রাতে মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী জাফরুল হাসান শরীফ বিষয়টি নিশ্চিত করে জাগো নিউজকে বলেন, ড. ইউনূসের অফিসে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা ১২ মামলার জবাব দাখিল ও তাকে হাজির হওয়ার জন্য নোটিশ আদালত পাঠিয়ে দিয়েছেন। তার অফিস এগুলো রিসিভ করেছে।
এর আগে, গত ১৪ মার্চ ৩টি, ১৫ মার্চ ৭ ও ১৯ মার্চ ২টিসহ মোট ১২টি মামলা করেন ড. ইউনূসের প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি গ্রামীণ টেলিকমের কর্মকর্তারা।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণ টেলিফোনে এক-তৃতীয়াংশ শেয়ার রয়েছে গ্রামীণ টেলিকমের। এ প্রতিষ্ঠানের মুনাফা কর্মীদের মাঝে বণ্টন করে দেয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা দেয়া হয়নি।
২০০৬ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত গ্রামীণ টেলিকমের মুনাফা হয়েছে ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। কিন্তু এ মুনাফা কর্মীদের পরিশোধ করা হয়নি। গত দশকে প্রতিষ্ঠানটির নিট মুনাফা ২১ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ৫ শতাংশ অর্থাৎ ১০৮ কোটি টাকা কর্মী ও সরকারকে দেয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এ অর্থের ৮০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানটির সাবেক ও বর্তমান কর্মীদের পরিশোধ, ১০ শতাংশ সরকার এবং ১০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের কল্যাণ ফান্ডে জমা দেয়ার কথা।
গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান এবং এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বিবাদী করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দারিদ্র্য বিমোচনে বিশেষ অবদান রাখায় ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
জেএ/বিএ