মামলা শুনানিতে আইন লঙ্ঘন : দুই বিচারকের ব্যাখ্যা তলব
তথ্যপ্রযুক্তি আইনে করা এক মামলার আসামির জামিন আবেদন শুনানি গ্রহণ না করায় মাগুরা জেলা ও দায়রা জজের ব্যাখ্যা তলব করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে একই জামিন আবেদন এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে শুনানি করায় ঢাকার সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারকের কাছেও ব্যাখ্যা চেয়েছেন আদালত। আগামী ২২ মার্চের মধ্যে তাদের হাইকোর্টে লিখিত ব্যাখ্যা দাখিল করার জন্য বলা হয়েছে।
সাইবার ট্রাইব্যুনালের আদেশের বিরুদ্ধে ওই আসামির করা আপিল গ্রহণ করে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি এএনএম বশিরউল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এই আদেশ দেন। আদালতে আসামির পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আমিমুল এহসান জুবায়ের এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান কবির।
জানা গেছে, ফেসবুকে সরকারবিরোধী পোস্টকে কেন্দ্র করে ২০১৬ সালের ১০ সেপ্টেম্বর মাগুরা জেলার মোহাম্মপুর থানার আহমেদ সবুজ নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলায় মাগুরার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন। পরে মাগুরার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করেন আহমেদ সবুজ। কিন্তু দায়রা জজ আদালত একই বছরের ১৭ নভেম্বর এই মামলা শুনানিতে অস্বীকৃতি জানান।
এরপর ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে জামিন আবেদন করলে ২০১৭ সালের ২৬ জানুয়ারি সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে আদেশ দেন। এই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন আহমেদ সবুজের আইনজীবী। হাইকোর্ট আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে এ আদেশ দেন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ একেএম মনিরুজ্জামান কবির বলেন, আইন অনুযায়ী মামলার বিচার আমলে নেয়ার আগ পর্যন্ত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের যেকোনো আদেশের বিরুদ্ধে দায়রা জজ আদালত শুনানি গ্রহণ করবেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট দায়রা জজ ওই জামিন আবেদন শুনানিতে মৌখিকভাবে অস্বীকৃতি জানান। অপরদিকে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের যেকোনো মামলা আমলে নেয়ার আগ পর্যন্ত সাইবার ট্রাইব্যুনাল শুনানি করতে পারেন না। কিন্তু এই মামলা আমলে নেয়ার আগেই সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শুনানি করেছেন। এসব বিষয়ে দুই বিচারকের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন হাইকোর্ট।
এফএইচ/ওআর/আরআইপি