ভিকারুননিসার বর্ধিত ফি আদায় হাইকোর্টে স্থগিত


প্রকাশিত: ০৮:১৪ এএম, ১৩ মার্চ ২০১৭

অ্যাডহক কমিটির মাধ্যমে নির্ধারণ করা ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বর্ধিত ফি আদায় এক বছরের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে স্কুলের অ্যাডহক কমিটি গঠনের বিধান সম্বলিত আইনের ধারা কেন বেআইনি ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা সচিব, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, ঢাকার ডিসিসহ নয়জনকে ওই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি কাজী ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ এই  আদেশ দেন। আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।

২০০৯ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার প্রবিধানমালা ৩৯ ধারায় বলা হয়েছে, ‘মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের কোনো বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গভর্নিং বডি বা ক্ষেত্রমতে ম্যানেজিং কমিটি পুনর্গঠনে ব্যর্থ হলে উহা সঠিকভাবে গঠিত না হলে বা ভাঙ্গিয়া দেওয়া হলে অনধিক ছয় মাসের জন্য এডহক কমিটি গঠিত হবে।’

আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, প্রবিধানমালার এই ধারাটি সংবিধানের প্রস্তাবনা ও ১১ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এছাড়া ১৯৬১ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধ্যাদেশের ৩৯ ধারার সঙ্গেও এটা সাংঘর্ষিক। কারণ, অধ্যাদেশে অ্যাডহক কমিটি গঠনের কোনো বিধান ছিল না। অ্যাডহক কমিটি সংবিধানের গণতান্ত্রিক কাঠামোর সঙ্গেও সাংঘর্ষিক। অনির্বাচিত অ্যাডহক কমিটি থাকলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারও থাকতে পারে। তাই আদালত এই ধারাটি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, এদিকে অ্যাডহক কমিটির মাধ্যমে ভিকারুননিসার স্কুল পর্যায়ে ৩০০ ও কলেজ পর্যায়ে মাসিক ৫০০ টাকা হারে বেতন বাড়ানো হয়েছে। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বার্ষিক ৫০০ টাকা হারে হিতৈষী ভাতা নিয়ে থাকে।

অনির্বাচিত কমিটির মাধ্যমে এই টিউশন ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত এক বছরের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। এর আগে গত ৭ মার্চ হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করেন আইনজীবী ড. ইউনুছ আলী আকন্দ। সেই আবেদনের শুনানি শেষে আদালত আজ এই আদেশ দিলেন।

এফএইচ/এনএফ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।