সানির জামিন শুনে মুচকি হাসলেন নাসরিন
জাতীয় দলের ক্রিকেটার আরাফাত সানির জামিনের কথা শুনে আদালতের ভেতরে মুচকি হাসলেন নাসরিন সুলতানা। নাসরিন নিজেকে সানির স্ত্রী বলে দাবি করে আসছেন।
সানির জামিন শুনানির সময় বিচারক নাসরিনকে প্রশ্ন করেন, ‘সানি জামিন পেলে আপনার কোনো আপত্তি আছে কিনা।’ এ সময় মুচকি হেসে নাসরিন বললেন, ‘সানি জামিন পেলে আমার কোনো আপত্তি নেই।’ পরে বিচারক নাসরিনের জিম্মায় সানিকে এক মাসের জন্য জামিন দেন।
প্রসঙ্গত, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা মামলায় সানিকে বৃহস্পতিবার এক মাসের জন্য (১০ এপ্রিল পর্যন্ত) জামিন দেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা।
বিচারক জামিন আদেশে বলেন, ‘এক মাসের জন্য নাসরিনের জিম্মায় সানিকে জামিন দেয়া হলো। এর মধ্যে যদি কোনো সমস্যা হয় তখন আমাকে জানাবে।’
জামিন শুনানির সময় সানির স্ত্রী দাবিদার নাসরিন সুলতানা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সানির আইনজীবী মুরাদুজ্জামান মুরাদ ও জুয়েল আহমেদ জামিন শুনানিতে বলেন, ‘সানিকে জামিন দিলে বাদীর (নাসরিনের) কোনো আপত্তি নেই। তাই আপনি (আদালত) এ মামলায় তাকে জামিন দিতে পারেন।’
বিচারক এসময় নাসরিনকে বলেন, ‘সানিকে জামিন দিলে আপনার কোনো আপত্তি আছে কিনা? তাহলে মামলাটি একবারে নিষ্পত্তি করে দেই।’
তখন নাসরিন বলেন, ‘আমার কোনো আপত্তি নেই। তবে মামলাটি নিষ্পত্তি না করলে ভালো হয়।’ বিচারক এ সময় সানির মামা রমিজ উদ্দিন পল্লুকে প্রশ্ন করেন, ‘সানিকে জামিন দিলে আপনারা পরবর্তীতে সবকিছু ঠিক করে নেবেন কিনা।’
সানির মামা আদালতকে বলেন, ‘সানি কারাগার থেকে বের হলে আমরা সবকিছু ঠিক করে নেব। আর সানি যা সিদ্ধান্ত দেবে আমরা তা মেনে নেব।’
এর আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ের করা মামলায় আরাফাত সানির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাইফুল ইসলাম। এদিন সানিকে দেখে আদালতের ভেতরে অঝোরে কাঁদেন নাসরিন। কাঁদতে কাঁদতে তিনি ওই সময় ‘জাগো নিউজ’কে বলেন, ‘আমি তাকে দেখে খুব কষ্ট পাচ্ছি। হাজার হলেও সে আমার স্বামী।’
ওইদিন তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ের করা মামলায় জামিন শুনানির জন্য সানিকে সাইবার ট্রাইব্যুনালে হাজির করে পুলিশ। নাসরিন সুলতানাও ওই সময় আদালতে হাজির হন। তিনি কাঁদতে কাঁদতে আরো বলেন, ‘সানির জন্য আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। আমি চাই এ কষ্ট থেকে সানি মুক্তি পাক।’
নাসরিন ওই সময় আরো বলেন, ‘সানি বলেছে, তাকে কারাগার থেকে বের করলে সে আমাকে স্ত্রী হিসেবে স্বীকার করে নেবে।’ ওই সময় নাসরিন জাগো নিউজকে আরো বলেন, ‘সে আমাকে স্ত্রী হিসেবে মেনে নিলে আমি মামলা তুলে নেব।’
১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ৪নং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে যৌতুকের জন্য মারধরের অভিযোগে জাতীয় দলের ক্রিকেটার আরাফাত সানি এবং তার মা নার্গিস আক্তারের বিরুদ্ধে তৃতীয় মামলা করেন নাসরিন সুলতানা। এরপর আদালত মামলাটি এজাহার হিসেবে নেয়ার জন্য মোহাম্মদপুর থানাকে নির্দেশ দেন।
৮ ফেব্রুয়ারি আরাফাত সানি ও তার মা নার্গিস আক্তারের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি এজাহার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে মোহাম্মদপুর থানা।
২২ জানুয়ারি রাজধানীর আমিনবাজার এলাকা থেকে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ের করা প্রথম মামলায় আরাফাত সানিকে গ্রেফতার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। এরপর তার বিরুদ্ধে আরো দুটি মামলা করেন নাসরিন।
জেএ/এমএআর/পিআর