বিমান কর্মকর্তাসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাতটি টয়লেট থেকে ১০৬ কেজি স্বর্ণ উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বাংলাদেশ বিমানের দশ কর্মকর্তাসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় সম্প্রতি এ চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন ডিবি পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার এ কে এম মাহবুবুর রহমান।
মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় দশজনকে অব্যাহতির আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে ৫৬ জনকে।
চার্জশিটভুক্ত উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- বাংলাদেশ বিমানের সিনিয়ার ইন্সপেকশন অফিসার শাহজাহান সিরাজ (৪৭), জুনিয়র ইন্সপেকশন অফিসার এস এম আ. হালিম (৫৩), এয়ারক্রাফট মেকানিক এ্যাসিস্ট্যান্ট আনিসউদ্দিন ভূইয়া (৪৩), এসি মেকানিক নিয়াজ মাহমুদ (৩৫), এয়ারক্রাফট মেকানিক মিলন খন্দকার (৫১), সহকারী মেকানিক ইমরান (৪২), এসি মেকানিক শেখ হারুন আর রশিদ (৫০), এসি মেকানিক মতিন মিয়া (৪৩), জুনিয়র টেকনিশিয়ান সিরাজুল ইসলাম ও জুনিয়র টেকনিশিয়ান এস এম হালিম।
চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা স্বর্ণ চোরাচালানের কথা জানতেন। তারা স্বর্ণগুলো বাইরে আনার জন্য বিমানবন্দরের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান করেছিলেন। পরস্পরের যোগসাজসে দুবাই থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে ৯০৪ পিস স্বর্ণবার বাংলাদেশে আনায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫-বি এর ১(বি) ধারা মোতাবেক শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেন। প্রকাশ্য ও গোপনীয় তদন্তে এবং দালিলিক সাক্ষ্য প্রমাণে আসামিরা যে স্বর্ণ চোরাচালানের সাথে জড়িত তা প্রমাণিত হয়েছে।
২০১৪ সালের ২৬ এপ্রিল দুবাই থেকে আসা একটি ফ্লাইটের সাতটি টয়লেট থেকে ১০৬ কেজি স্বর্ণের চালান উদ্ধার করে শাহজালাল বিমানবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তারা। উদ্ধার করা স্বর্ণের মূল্য ৪৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এটি শাহজালালে আটক স্বর্ণের চালানের মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম। ওই ঘটনায় গোয়েন্দা ও তদন্ত শাখার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মফিজউল্লাহ বাদী হয়ে রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
জেএ/এমএআর/জেআইএম