বিজিএমইএ ভবন ভাঙতেই হবে
বিজিএমইএ ভবন অবিলম্বে ভেঙে ফেলতে সর্বোচ্চ আদালতের দেয়া রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে (রিভিউ) করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
রোববার এ বিষয়ে শুনানির জন্য নির্ধারিত দিনে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে তিন সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ রায় দেন।
বিজিএমইএ’র পক্ষের আইনজীবী জানান, রিভিউ আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার পর বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে ভবনটি ভাঙার জন্য আবারও তিন বছরের সময় চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করা হয়েছে।
আদালতে আজ শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। অপরদিকে বিজিএমইএ’র পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী। আবেদনকারী হিসেবে ছিলেন অ্যাভোকেট মনজিল মোরসেদ।
এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রিভিউ আবেদনের শুনানির জন্য ৫ মার্চ দিন ধার্য করেছিলেন আপিল বিভাগ। এরও আগে ২০১৬ সালের ৮ ডিসেম্বর রিভিউ আবেদন দায়ের করে বিজিএমইএ। আবেদনে আপিল বিভাগের রায় স্থগিত করে বহুতল ভবনটি ভেঙে ফেলার জন্য তিন বছরের সময় চাওয়া হয়েছিল।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুব আলম সাংবাকিদকের জানান, বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সংগঠন বিজিএমইএ’র বহুতল ভবন ভাঙতে আপিল বিভাগের রায়ের রিভিউ চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ।
তবে, ভবনটি কত সময়ের মধ্যে ভাঙতে হবে সে বিষয়ে বৃহস্পতিবারের মধ্যে উচ্চ আদালতে আবেদন করতে হবে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষকে।
তিনি বলেন, আমরা বলেছিলাম এক বছর সময় দেয়া হোক, কিন্তু বিজিএমইএ ভবন কর্তৃপক্ষের আইনজীবী তিনবছর সময় চেয়ে মৌখিক আবেদন করেছেন। আদালত বলেছেন, বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে লিখিত আবেদন করার জন্য। সেই আবেদনের বিষয়ে আগামী ৯ মার্চ বৃহস্পতিবার শুনানির দিন ধার্য রাখা হয়েছে। আদালত সময় দেবেন কি না সে বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, কত সময় দেবেন তা আদালতের বিষয়।
অপরদিকে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে আদালতে উপস্থিত থাকা অপর আইনজীবী মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের জনান, আমি মনে করি রিভিউ আবেদন খারিজ হয়নি। কারণ যেহেতু ভবন ভাঙার বিষয়ে সময় চাওয়ার বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য রয়েছে। বৃহস্পতিবারই বলা যাবে রিভিউ খারিজ কি না। তবে, সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের ওয়েবসাইটে আদেশে ডিসমিসড লেখা রয়েছে।
বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে হাইকোর্টের দেয়া রায় গত বছরের ২ জুন বহাল রেখেছিলেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ। তার পরে ৮ নভেম্বর সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে ৩৫ পৃষ্ঠার রায় প্রকাশিত হয়। রায়টির লেখক ছিলেন বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার। আর বেঞ্চের অন্য বিচারপতিরা তাতে একমত পোষণ করেছিলেন।
পরে ডিসেম্বরে এ রায় রিভিউ চেয়ে আবেদন করে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ।
এফএইচ/এনএফ/জেডএ/এমএস