গাবতলীতে পুলিশ-শ্রমিক সংঘর্ষ : ৭ শ্রমিক রিমান্ডে


প্রকাশিত: ১২:১৭ পিএম, ০২ মার্চ ২০১৭

রাজধানীর গাবতলীতে পরিবহন শ্রমিকদের তাণ্ডব ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ এবং গাড়ি ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ ঘটনার মামলায় সাত শ্রমিককে একদিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার তাদের ঢাকা সিএমএম আদালতে হাজির করে মামলা সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্তকারী অফিসার। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আলগমীর কবির রাজ প্রত্যেকের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ডকৃত সাত শ্রমিক হলেন- রফিকুল ইসলাম, হাসানুর, রবিন, সোহেল, ফজলে রাব্বী, আল আমিন ও এনামুল হক।

এর আগে বুধবার রাতে মামলাটি করে দারুস সালাম থানা পুলিশ। এসব মামলায় ৪০ জনের নাম উল্লেখ করে এক হাজারের বেশি শ্রমিককে আসামি করা হয়েছে।

দারুস সালাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সেলিমুজ্জামান জানান, ‘ধর্মঘটের নামে মঙ্গল ও বুধবার গাবতলী এলাকায় পরিবহন শ্রমিকরা তাণ্ডব চালিয়েছে। এ ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে। দুটি মামলা করেছে পুলিশ। আর একটি মামলা করেছেন একজন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি। আসামিদের মধ্যে ৪০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজন পরিবহন শ্রমিক নেতাও রয়েছেন। সব মিলে আসামি এক হাজারের বেশি।’

এর আগে গাবতলীর ঘটনায় শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলে জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলার কয়েক ঘণ্টা পরে গতকাল বুধবার রাতে এ তিন মামলা হলো।

উল্লেখ্য, সড়ক দুর্ঘটনায় প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক তারেক মাসুদ ও সাংবাদিক মিশুক মুনীরের মৃত্যুর জন্য দায়ী বাসচালককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে গত সপ্তাহে মানিকগঞ্জের আদালতে রায়ের পর থেকে চুয়াডাঙ্গায় ধর্মঘট শুরু করেন বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা।

এরপর সাভারে এক নারীর ওপর ট্রাক তুলে দিয়ে হত্যার অপরাধে আরেক চালকের মৃত্যুদণ্ডের সাজার পর মঙ্গলবার দেশজুড়ে যান চালানো বন্ধ করে দেন পরিবহন শ্রমিক-মালিকরা।

পূর্বঘোষণা ছাড়াই যানচলাচল বন্ধ করে দেয়ায় রাজধানীসহ সারাদেশের জনজীবনে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়। ঢাকার সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে পুরো দেশ।

মঙ্গলবার রাত থেকে ধর্মঘট শ্রমিকরা গাবতলীতে ব্যাপক ভাঙচুর চালান ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। আগুন ধরিয়ে দেন একটি পুলিশ বক্স ও রেকারে। এক পুলিশ সার্জেন্টকে মারধর করে তার মোটরসাইকেলটিও পুড়িয়ে দেন।

এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গাবতলীতে মঙ্গল ও বুধবার পুলিশের সঙ্গে পরিবহন শ্রমিকদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে মারা যান এক শ্রমিক। অবশেষে চাপ ও সমালোচনার মুখে বিনা শর্তে ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।

জেএ/জেএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।