ছয় ছাত্রহত্যা : ম্যাজিস্ট্রেটের জেরা অব্যাহত
ঢাকার সাভারের আমিনবাজারে ছয় ছাত্রকে ডাকাত সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা মামলায় ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শহিদুল ইসলামকে জেরা অব্যাহত রেখেছেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা। রোববার ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রফিকুল ইসলামের আদালতে তাকে জেরা করেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা। জেরা শেষ না হওয়ায় পরবর্তী জেরার জন্য আগামী ১৬ মার্চ পরবর্তী দিন ধার্য করেন আদালত।
বর্তমানে কাজী শহিদুল ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যুগ্ম জেলা জজ হিসেবে কর্মরত। গত ১৬ নভেম্বর তিনি আদালতে জবানবন্দি দেন। মামলায় ৯২ সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময় ৪৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে।
২০১১ সালের ১৭ জুলাই শবেবরাতের রাতে আমিনবাজারের বড়দেশি গ্রামের কেবলারচরে ডাকাত সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ছয় কলেজ ছাত্রকে। ঘটনার পর নিহত কলেজ ছাত্রদের বিরুদ্ধেই ডাকাতির অভিযোগ এনে গ্রামবাসীর পক্ষে সাভার মডেল থানায় মামলা করেন আব্দুল মালেক নামে এক বালু ব্যবসায়ী। অন্যদিকে ছয় কলেজছাত্র হত্যাকাণ্ডে ৬০০ গ্রামবাসীকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন পুলিশের উপ-পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন।
২০১৩ সালের ৭ জানুয়ারি র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ উদ্দিন আহমেদ ৬০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগ দাখিল করেন। গত বছরের ৮ জুলাই এ মামলার ৬০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. হেলালউদ্দিন।
এ মামলার ৬০ জন আসামির মধ্যে ৪৬ জন জামিনে, ৯ জন পলাতক ও চারজন কারাগারে। রাশেদ মিয়া নামে এক আসামি মারা গেছেন।
জেএ/আরএস/আরআইপি