বঞ্চিত দুই বিচারপতির আপিল শুনানি একসঙ্গে


প্রকাশিত: ০৯:৪২ এএম, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

হাইকোর্ট বিভাগে স্থায়ী নিয়োগবঞ্চিত দুই অতিরিক্ত বিচারপতির আবেদনের শুনানি একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে। রোববার নিয়োগবঞ্চিত ফরিদ আহমদ শিবলীর আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

মনজিল মোরসেদ জানান, নিয়োগবঞ্চিত আরেক সাবেক বিচারপতি এবিএম আলতাফ হোসেনের আবেদনও আপিল বিভাগে শুনানির জন্য রয়েছে। তার আবেদনটি প্রায়ই আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় আসে। ওই মামলার সঙ্গেই বিচারপতি শিবলীর আবেদনেরও শুনানি হবে বলে আপিল বিভাগ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। এখন ওই বিচারপতি আলতাফ হোসেনের মামলা যেদিন কার্যতালিকায় আসবে সেদিনই এ আবেদনেরও শুনানি হবে।

স্থায়ী নিয়োগ না পাওয়া বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি ফরিদ আহমদ শিবলীর করা রিট আবেদন সংক্রান্ত হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিল আজ (রোববার) প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারিত ছিল। ১৬ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের চেম্বার আদালত ২৬ ফেব্রুয়ারি তারিখ নির্ধারণ করে আবেদনটি আপিলের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে আদেশ দেন।
 
মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘১৫ ফেব্রুয়ারি লিভ টু আপিল (ফাইল) আবেদন করেছিলাম। আমরা আদালতে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি (রোববার) আবেদনটির ওপর শুনানির জন্য বলেছিলাম। অন্যদিকে অ্যাটর্নি জেনারেল এ বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে তা এপ্রিল মাসে শুনানির তারিখ ঠিক করার জন্য বলেছিলেন। পরে আদালত আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি তারিখ নির্ধারণ করেন।’
 
ফরিদ আহমদ শিবলীসহ ১০ জন ২০১৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি দুই বছরের জন্য অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। গত ৮ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শক্রমে ১০ অতিরিক্ত বিচারপতির মধ্যে ওই ৮ জনকে স্থায়ীভাবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। বাকি দুজনের মধ্যে বিচারপতি জে এন দেব চৌধুরী গত ১৫ ডিসেম্বর পরলোকগমন করেন। তবে স্থায়ী নিয়োগবঞ্চিত হন ফরিদ আহমদ শিবলী।

এফএইচ/আরএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।